হাবিপ্রবি’র জোড়া খুনের মামলার ৫ বছর পর চার্জশীট আদালতে দাখিল
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাবিপ্রবি’র জোড়া খুনের (দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা) মামলার চার্জ শিট (তদন্ত প্রতিবেদন) আদালতে জমা করা হয়েছে।
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রায় ৫ বছর পর
তদন্ত কর্মকর্তা চার্জ শিট (তদন্ত প্রতিবেদন) আদালতে জমা প্রদান করেছেন।
বুধবার দুপুরে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা ( ইন্সপেক্টর ) রমজান আলী আদালতে চার্সশিট প্রদান করেন।
মাস্ক না পরার দায়ে চারঘাটে জরিমানা
জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশি চার্জশিটে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জোড়া খুনের মামলায় পুলিশী তদন্ত অভিযোগে প্রথমে নাম রয়েছে সদ্য সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি
আবু ইবনে রজ্জব ওরপে ইমাম আবু জাফর রজ্জব (৪২), দ্বিতীয় কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন (৪৮),
তৃতীয় রয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া জাকির (৪০), এর পর্যায় ক্রমে রয়েছে রশিদুল ইমলাম (৪৩),
সিরাজুল সালেকীন রানা (৩৬), মাহমুদুল হাসান ওরফে সিঙ্গেল (২৫), হারুনুর রশিদ রায়হান (২৮), রাকিবুল ইসলাম মিথুন (২৫),
মাহমুদুর রহমান মাসুদ (৩৫) ,নাহিদ আহমেদ নয়ন (৩০) ,মমিনুল ইসলাম মোমেন (২৮), রুহুল আমিন জোহা (২৭), আমিনুল ইসলাম (৩৮),
আশরাফুল আলম (২৭), নাজমুল ইমলাম মামুন (২৮), কামরুজ্জামান কামু (৩০), জুয়েল ইসলাম (৩৫), নাহিদ আলী (৪০), নায়েফ বিন শরীফ (৩৫),
আবু হারেজ ওরফে বুলু (৩৫), আজিজার রহমান (৩৮), সাব্বির আহমেদ সুজন (৩৫),
আরমান বিশ্বাস (৪২), আরাফাত হোসেন (৩৫) ,শহিদুল ইসলাম সাজু (৩৯) এবং আবু সায়েদ শেরু (৪০)।
বাঁধের নীচ থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদে মানব বন্ধন
এদের মধ্যে আবু ইবনে রজ্জব ও সাব্বির আহমেদ সুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বর্তমানে তার দুজন দিনাজপুর কারাগারে রয়েছে ।
২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে ছাত্রলীগের অন্য অংশের সংর্ঘষ
চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া ও কৃষি বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মিল্টন নিহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে একটি ও দুই পরিবারের
পক্ষ থেকে কোর্টে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে গেলে নিহত মিল্টনের
মা ও জাকারিয়ার বাবাকে প্রধানমন্ত্রী বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন ।
অন্য আরোও একটি হত্যা মামলায় প্রথম হত্যা মামলার সকল আসামিসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত
আরোও ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় রাজনৈতিক দাপটের কারণে পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উদ্যোগে গো খাদ্য বিতরণ
একাধিকারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পরও দুই ছাত্র হত্যা মামলার কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
অবশেষে আদালতের এক আদেশে গত বছরের মার্চে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডিতে) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা দিনাজপুর সিআইডির ইন্সপেক্টর রমজান আলী বলেন, দীর্ঘ সময় তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা হয়েছে ।
জোড়া ছাত্রের খুনের মামলার বাদি পক্ষের এ্যাড. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই মামলার যাদের নির্দেশে জোড়া খুনের ঘটনা
ঘটেছে তাদের নাম চার্জশীটে না থাকায় আমরা সংক্ষুদ্ধ।
আমি অবশ্যই আদালতে বিষয়টি নিয়ে জোড়ালো ভাবে দাবি জানাবো ।
/ কুআ
