যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৭ বন্দিকে শোন অ্যারেস্ট
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন বন্দিকে নির্যাতনে খুন ও ১৫ জন আহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ বন্দিকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
এর আগে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবাধায়ক সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ ৫ কর্মকর্তাকে এই মামলায় আসামি করা হয়।
বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনসপেক্টর রোকিবুজ্জামান।
তিনি জানান, ৫ সাক্ষীর আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে ৮ বন্দি শিশুর নাম আসার নাম তাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এই পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে।
নতুন ৮ আসামি হলো গাইবান্ধা সদর উপজেলার জোদ্দকুড়ি সিং (বানপাড়া)’র আমজাদ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান তুহিন,
নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড় মল্লিক গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমাইদ হোসেন,
পাবনার বেড়া উপজেলার সান্যালপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মনোয়ার হোসেন,
রাজশাহীর মতিহার থানায় কাজলা গ্রামের তজিবরের ছেলে পলাশ ওরফে শিমুল,
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চাপুভেলা কোপা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত আহেমদ রিফাত,
নাটোর উপজেলার কামারদিয়া গ্রামের কামাল জোয়ার্দারের ছেলে মোহাম্মদ আলী এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আনিসুর রহমান আনিস।
রংপুরের গংগাচড়ায় ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ১
এর আগে মামলায় আসামি করা হয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক,
ফিজিক্যাল ইনসট্যাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান।
ইনসপেক্টর রোকিবুজ্জামান জানান, আনিস ছাড়া বাকি ৭ জনকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতে হাজির হয়।
সোমবার তাকেও হাজির করা হবে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৭বন্দিকে আদালত দেখতে চাওয়ায় তাদের হাজির করা হয়।
আদালতে তারা বক্তব্য দিয়েছে ঘটনার দিন ‘পিস স্যার লাঠি নিয়ে আসে। আর আনসার সদস্য ও এডি স্যাররা বন্দিদের পেটায়।
নড়াইলের বিভিন্ন এতিমখানায় শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ
পরে তারা আহত হলে আমাদের হুকুম দেয়া হয় তাদের ডরমেটরীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা স্যারদের হুকুম পালন করেছি মাত্র।
কাউকে মারপিট বা নির্যাতনের সাথে আমরা কেউ জড়িত নয়।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৭ বন্দিকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর পাশাপাশি এদিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গত ১৩ আগস্টের ঘটনাটির
সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে ঢাকাস্থ সমাজসেবা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি।
মন্ত্রণালয়ে পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ নুরুল বসির এবং উপরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এমএম মাহমুদুল্লাহ রোববার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যান।
এসময় তারা ভর্তি আহত বন্দিদের সাথে কথা বলেন। এরপর তারা পুলেরহাটস্থ শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়ে স্টাফ ও কয়েকজন বন্দির সাথে কথা বলেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি আছে কিনা বা অতীতে হয়েছে কি-না তারও তদন্ত করছে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা।
এই দুই কর্মকর্তা রোববার রাত পর্যন্ত উন্নয়ন কেন্দ্রে তদন্তের কাজ করেছেন।
অপরদিকে, রোববার বিকেলে শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে হত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) যশোরের নেতৃবৃন্দ এই মানববন্ধন করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে শিশুদের সংশোধনের শিক্ষা না দিয়ে কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত ও পৈশাচিকভাবে পিটিয়ে তিন কিশোরকে খুন ও
১৫ কিশোরকে মারাত্মক জখম করেছে। এই নির্মম অমানবিক ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ি ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান তারা।
নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিপিবি যশোর জেলার সভাপতি অ্য্যাডভাকেট আবুল হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভাকেট আমিনুর রহমান হিরু,
সিপিবি নেতা মফিজুর রহমান নান্নু, বিথিকা সরকারসহ নেতৃবৃন্দ।
রোববার সকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
সেখানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুব বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান,
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, বেলাল হোসেন, আবু রায়হান, হাবিবুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, নাকিবুল হাসান প্রমুখ।
/ বিহো
Pingback: তালায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের হয়রানি করায় কারাদন্ড - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: মৌমাছি চাষ করে সফল হয়েছেন কুষ্টিয়ার যুবক মোক্তার - দ্যা বাংলা ওয়াল