যশোরের শার্শা উপজেলায় তিন ক্লিনিকের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ
যশোরের শার্শা উপজেলায় তিন ক্লিনিকের নাভারণের রুবা ক্লিনিক, বাগআঁচড়ার জনসেবা ক্লিনিক ও নার্সিং হোমের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ
করে দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। বুধবার প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এই নিয়ে গত ১ মাসে যশোর জেলায় মোট ৩৫ টি অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করলেন সিভিল সার্জন।
এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।আরিফুজ্জামান জানান,
রুবা ক্লিনিক,বাগআঁচড়ার জনসেবা ক্লিনিক ও নার্সিং হোম পরিদর্শনে নানা ত্রুটি চোখে পড়েছে।
রুবা ক্লিনিকে বেড ও ল্যাব আছে। কিন্তু নেই চিকিৎসক সেবিকা ও এমটি ল্যাব।
রাণীনগরে ব্র্যাক এর ক্লায়েন্ট ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে ২০১৭ সালে। জনসেবা ক্লিনিকের অস্ত্রোপচার কক্ষ মানসম্মত নয়।
এখানে প্যাথলজি বিভাগে রয়েছে নানা অনিয়ম। চিকিৎসা পরিবেশও সন্তোষজনক নয়।
তিনি আরো জানান, বাগআঁচড়া নাসিং হোমে বিগত দিনের লাইসেন্সে অনুমোদন রয়েছে ১০ শয্যার।
কিন্তু যশোরের শার্শা উপজেলায় তিন ক্লিনিকের পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিদর্শনের সময় সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও এমটি ল্যাব পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়াতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম!
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উল্লিখিত তিনটি ক্লিনিকের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া ২৩ তারিখ পর্যন্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন ও অন্যান্য অনিয়ম সংশোধনের জন্য সময় দেয়া হয়েছে।
ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক সিলগালা করা হবে।
পরিদর্শন টিমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভোগের
সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আলী, শার্শা উপেজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী,
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
/ বিহো
