শার্শায় গর্ভবর্তী নারীর পেটে লাথি, হাসপাতালে ভর্তি
শার্শায় গর্ভবর্তী নারীর পেটে লাথি : রক্তক্ষরণ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে
প্রতিবেশীর মারপিটে রিতা (২০) নামে এক গর্ভবর্তী নারী ও তার ভাসুর হাসান (৩০) মারাত্বক আহত হয়ে নাভারন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গর্ভবর্তী রিতার পেটে লাথি মারায় তার শরীর দিয়ে প্রচুর পরিমান রক্তপাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার মামা রুবেল হোসেন।
হাসানের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
বদলির ক্ষেত্রে এক অনন্য নজির স্থাপন সুনামগঞ্জে
আহত রিতা লক্ষনপুর গ্রামের আশিকের স্ত্রী এবং হাসান একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
রিতার মামা রুবেল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তার ভাগ্নিদের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন ও ইসমাইল আমার ভাগ্নিকে মারধর করে।
তাকে ঠেকাতে এসে বেদম মারপিটের শিকার হয় ভাসুর হাসান।
এক পর্যায় ৪ মাসের গর্ভবর্তী রিতার পেটে লাথি মারে শাহাবুদ্দিন।
এতে তার শরীর দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরন হলে স্বজনেরা দ্রুত নাভারণ বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় আহত দুজনকে।
বর্তমানে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় নাভারণ হাসপাতালের ডাক্তাররা রিতাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
কিন্তু করোনা ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তারা উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে আহতের স্বামী আশিক।
এ ব্যাপারে নাভারণ হাসপাতালের ডাক্তার আক্তার মারুফ বলেন, রিতার শরীর দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আপাতত রক্ত বন্ধ করা হয়েছে।
চিকিৎসা চলছে।
সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও নদীতে নিখোঁজ
আল্ট্রাসোনো করার পর জানা যাবে রিতার পেটের বাচ্চার অবস্থা কেমন।
শার্শায় গর্ভবর্তী নারীর পেটে লাথি তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
শার্শা থানার ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।
বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই মোস্তাফিজুরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই মামলা রেকর্ড করা হবে।