শ্রীপুর পৌরসভার বংশী ঘাটা লবলং খালে বাঁশই ভরসা
শ্রীপুর পৌরসভার বংশী ঘাটা লবলং খালে বাঁশই এখন একমাত্র ভরসা।
দেশের প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার মধ্যে একটি হচ্ছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভা।
ইলিশ পাঠানোর আগেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত
প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া স্বত্বেও মাত্র কয়েকটি রাস্তা ছাড়া পেীরসভার সংযোগ সড়কগুলোতে তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়নি
দীর্ঘ বিশ বছরেও এমন অভিযোগ রয়েছে পৌরবাসির।
এখনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী শ্রীপুর পৌরসভার ৭ ও ৯নং ওয়ার্ডের বংশী ঘাটা বেড়াইদে বাইদ লবলং খাল সংলগ্ন সংযোগ সড়কটিতে।
পৌরসভার বহেরার চালা ও বেড়াইদে বাইদের নালাটি যেখানে এসে লবলং খালের সাথে মিশছে সেই জায়গার নাম হল বংশী ঘাটা,
আর এই বংশী ঘাটার পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ৭নং ওয়ার্ড বেড়াইদের চালা ও
৯নং ওয়ার্ড বহেরার চালা গ্রামের শতাধিক বছরের পুরাতন এ সংযোগ সড়কটি।
বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেল বাংলাদেশের ইলিশের প্রথম চালান
এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন স্থানীয় কলকারখানায় কর্ম্রত হাজার হাজার শ্রমিক ও সাধারন মানুষ চলাফেরা করে।
পৌরসভার এ দুই গ্রামের সংযোগ স্থলে যে কালভার্ট ছিল সেটিও পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়ায়
বেড়ে যায় জন ভোগান্তি যা গত এক যুগের বেশি সময়েও দূর হয়নি।
স্থানীয় জনগণ এখানে বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে চলাফেরা করছে।
শ্রীপুর পৌরসভার বংশী ঘাটা লবলং খালে বর্ষাকালে সাঁকোটিও পানির নিচে চলে যাওয়ায়
মানুষের ভোগান্তি স্ব চোখে না দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই।
৫ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ কাজ করছে ১৫ বছর
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্থানীয় কৃষক কামাল হোসেনের সাথে।
তিনি বলেন, আশপাশে প্রায় ৪ থেকে ৬টি কারখানা গড়ে উঠায় এ রাস্তায় দিয়ে
প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক চলাচল করে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই কোমর পানি। বৃষ্টির সময় কোমর পানি অতিক্রম করে পারাপার হতে হয় হাজারও শ্রমিকসহ এলাকার সাধারণ মানুষের।
এখনো রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য কোনো উদ্যেগ নেওয়া হয়নি।
তাকওয়া কারখানার সাইট সেট সেম্বল অপারেটর সোহাগ বলেন বৃষ্টি হলে কোমর পানি বেঁধ করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু
তাই আমাদের প্রাণের দাবি আগামি পৌর নির্বাচনের আগে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ভীনট্রেক্র কারখানার টেকনিশিয়ান মোকলেছ বলেন, ২০০৮ সাল থেকে লবলং খালে পারশবর্তী কারখানা থেকে
কাঁদাযুক্ত পানি আসার কারনে খালটি ভরাট হয়ে গেছে।
সামান্য বৃষ্টি হলে পানি উঠে ফসলি জমিতে। স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
ঐ এলাকার স্কুল শিক্ষক আহসান বলেন, স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় একটি সাঁকো নির্মাণ করা হলেও
এখনো কোনো কালভার্ট নির্মান করা হয়নি। জনভোগান্তি কমানে এখানে একটি কালভার্ট জরুরী।
করোনায় বিপর্যস্ত শুঁটকির বাজার পরিস্থিতি উল্টো দিকে
তিনি আরো বলেন আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে মানুষের ভোগান্তি দূর করবে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমজাদহোসের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
Pingback: রাজশাহীর চারঘাটে আইনশৃংখলা সভা অনুষ্ঠিত - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: তিন মাসে সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা হাওড়ে প্রাণ হারালেন ৩৪ - দ্যা বাংলা ওয়াল