নবীগঞ্জের দুই যুবক গ্রীসে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত

নবীগঞ্জের দুই যুবক গ্রীসে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত : লাশের অপেক্ষায় পরিবার।
ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন সবসময় টানতো শাহীনকে। কিন্তু কে জানত এই স্বপ্নের দেশে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে মরতে হবে তাকে।
তারপরও যে যেতে হবে স্বপ্নের দেশ ইউরোপে। পূরণ করতে হবে স্বজনদের চাহিদা।
১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ
এমন বিশ্বাস নিয়ে দশ বছর আগে স্থলপথে গ্রীস পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলার
বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের কামড়াখাই গ্রামের আব্দুল মমিন (৪০)।
নবীগঞ্জের দুই যুবক গ্রীসে চার বছর আগে একইভাবে সেখানে গিয়েছিলেন একই গ্রামের শাহীন মিয়াও (২২)।
গত সোমবার গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের আসপোগিরগো এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা যান এ দু’জন।
দেশে খবর এলে দু’টি পরিবারে মধ্যে পড়ে কান্নার রোল। ভেঙ্গে গেছে তাদের সকল আশা, সকল স্বপ্ন।
এখন শুধু মরদেহগুলো একনজর দেখার দুরাশায় মগ্ন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে শাহীনের বাড়িতে দেখা গেল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। ঘরের এক কোনে ছেলের ছবি হাতে বসে আছেন বাবা নূর হোসেন।
হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় ভারত অনুতপ্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিছানায় বসে কান্না করছিলেন মা। বলছিলেন, আমার ছেলে ইউরোপে যাওয়ার জন্য পাগল ছিল।
এই স্বপ্নই তার কাল হবে জানলে, যেতে দিতাম না।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলের মরদেহটি দেশে এনে দিতে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছিলেন তিনি।
একইদিন নিহত আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মারা যাওয়ার খবর শুনে ভেঙ্গে পড়েছেন স্ত্রী ও তিন সন্তান।
আত্মীয়-স্বজন দেখতে এলেও কারো সাথে কথা বলতে পারছেন না তারা।
১২ বছর বয়সী সন্তান রায়হান বার বার চিৎকার দিয়ে উঠছিল, ‘ও আল্লাহ গো, তুমি আমার বাপরে আইনিয়া দেউ গো’ বলে।
হাউমাউ করে কান্না করছিলেন মমিনের স্ত্রীও।
অটিস্টিক রায়ার স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিহতদের নিকটাত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রফিক জানান, শাহীন ও মমিনের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে অতটা সবল না।
গ্রীস থেকে পাঠানো উপার্জনের মাধ্যমেই দু’টি সংসার চলতো। ছোটদের লেখাপড়ার খরচ বহন হতো।
এরা দু’জন মারা যাওয়ায় দু’টি পরিবার চালানোর মতো আর কেউ রইলো না।
গুলিতে নিহত মমিনের মা বলেন, অনেক আশা নিয়ে আমার ছেলে বিদেশে গেলেও তাকে গুলি করে মারা হয়েছে।
আমি এর বিচার চাই।
পাশাপাশি শেষবারের মতো একনজর ছেলের মরদেহ দেখার সুযোগ করে দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি সরকারের প্রতি।
সাভারে পৃথক স্থান থেকে অজ্ঞাত দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা তাদের হত্যা করে পরিত্যক্ত দুটি কনটেইনারের পৃথক পৃথক রুমে রেখে যায়।
তাদের একজন মাথায় ও আরেকজন গলায় গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
গ্রিসের প্রচলিত আইনে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস,
গ্রিস আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান মাতুব্বর জোর দাবি জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে গ্রিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস।
সাভারে অভিযানে ট্যাপেন্টাডল ও বিয়ার ক্যানসহ গ্রেফতার
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, মমিন ও শাহিনের মরদেহ গ্রীসে বাঙালি কমিউনিটি লিডারদের জিম্মায় রয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ দেশে পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
Pingback: সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে ৩৮ মাদকসেবী আটক - দ্যা বাংলা ওয়াল