ছয় মাস বয়সী শিশুকে বাঁচিয়ে রেখে গেলো খুনিরা
একটি রুমের মধ্যে মা, এক ভাই ও এক বোনের গলাকাটা মরদেহ ছড়িয়ে রয়েছে, মায়ের পাশেই পড়ে কাঁদছিল ছয় মাস বয়সী শিশু মারিয়া সুলতানা।
পাশের রুমে বাবার পা বাঁধা মরদেহ পড়ে রয়েছে খাটের উপরে।
এভাবে নৃশংসভাবে গলাকেঁটে হত্যা করা হয়েছে একই পরিবারের চারজনকে।
তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে রয়েছে শিশু মারিয়া। হয়তো খুনীরা ছয় মাস বয়সী শিশুটিকে হত্যা করেনি।
মা, বাবা, ভাই, বোন যে পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই সেটি এখনো বোঝার বয়সও হয়নি মারিয়া সুলতানার।
এখন কান্না থেমেছে মারিয়ার। খুঁজছে মা-বাবাকে।
ধারণা করা হচ্ছে, ছাদের চিলে কোঠার দরজা দিয়ে হত্যাকারীরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।
নড়াইলে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য টেপার আগমন
ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। জানান কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০),
ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (৯) ও মেয়ে তাসনিম (৬)।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে বলা জানান কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।
সাতক্ষীরার তালায় আন্তজার্তিক গ্রামীণ দিবস পালন
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ এখনো ঘটনার সুত্র উৎঘাটন করতে পারেনি।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে।
নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম বলেন, “বাড়িতে মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের চারজনসহ তারা ছয়জন থাকতেন।
মা কাল আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। আমি ছিলাম পাশের ঘরে। ভোরে পাশের ঘর থেকে বাচ্চাদের গোঙানির শব্দ শুনতে পাই।
তাৎক্ষণিক এগিয়ে গিয়ে দেখি ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। দরজা খুলে দেখা যায় বিভৎস দৃশ্য।
এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চারা মারা যায়।” তিনি আর জানান, তাদের সাথে জমি জায়গা নিয়ে পাশের কিছু লোকের বিরোধ ছিল।
কিন্তু কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
Pingback: সিরাজগঞ্জে বনপা’র ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: সাতক্ষীরায় ৪ হত্যা মামলায় আটক আপন ছোট ভাই - দ্যা বাংলা ওয়াল