সুনামগঞ্জের দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জের কাইয়ারগাওঁ গ্রামে একটি নিরীহ পরিবারের ৮ জন নারীপূরুষকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাইয়ারগাওঁ গ্রামে সন্ত্রাসী কর্তৃক একটি নিরীহ পরিবারের ৮ জন নারী পূরুষকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে
কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দাষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় আহত পরিবার ও তাদের স্বজনের উদ্যোগে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজসেবক এম তাজুল ইসলাম তারেকের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক ঐকৗ পরিষদের সভাপতি মো. সুহেল আহমদ,
জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি মো. আবুল মনসুর জমশেদ, সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির সভাপতি একে মিলন আহমদ,
জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি সানজিদা নাসরিন দিনা ডায়না,যুব মহিলালীগের নেত্রী মাহিন চৌধুরী,মো. ফরিদ মিয়া,
মানবাধিকার কর্মী কেএম শহীদুল,নুরুল ইসলাম নুরুলসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
নেতৃবৃন্দরা বলেন,গত ২৬ অক্টোবর সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাওঁ গ্রামের ফরিদ মিয়ার নিরীহ পরিবারের উপর
গ্রামের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী মকবুল হোসেন মুগল, শুক্কুর আলী নজরুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল
চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে বিকেলে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে কুপিয়ে নারীপূরুষ সহ ৮ জনকে গুরুতর আহত করেন।
বেনাপোলে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গুলিসহ ইউপি সদস্য আটক
ঐ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিয়ে গ্রাম তীরবর্তী চলতি নদীতে বড় বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে
প্রতিরাতে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে আসছিল। ঘটনার আগের দিন খবর পেয়ে
সদর থানা পুলিশ ঐ চক্রের বালু বোঝাই দুইটি বলগেটকে আটক করে।
এ ঘটনার জেরেই নামাংঙ্কিত ব্যক্তিরা কাইয়ারগাওঁ গ্রামের নিরীহ পরিবারের সদস্যদের উপর দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে এবং কুপিয়ে
৮ জন নারীপূরুষকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
আহতরা হলেন জায়েদা খাতুন(৬০), শহিদ মিয়া(২৮),সাবিকুন নাহার (২৫), হারুন মিয়া(৩৬),শামছুন্নাহার(১৬), রুবেল মিয়া(২৪),পান্না বেগম(২৬),
ফরিদ মিয়া(৪০) প্রমুখ। এদের মধ্যে জায়েদা খাতুন, শহিদ মিয়া, সাবিকুন নাহারের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়ায়
তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে গত ২৭ অক্টোবর ২৪জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সুনামগঞ্জের দোষীদের যার সদর থানা মামলা নং-৪৮-২৭/১০/২০২০ইং।
আসামীরা হলেন একই গ্রামের মো: সৈয়দ আলীর ছেলে মো: মকবুল হোসেন (মগল) (৩২), মো: নজরুল ইসলাম(মানিক) (৪০),
অবমাননার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
মৃত কালা মিয়ার ছেলে শুক্কুর আলী (৩৫), মো: ফয়েজ আলী (২৬) মো: আবুল কাশেমের ছেলে শো: ওমর ফারুক(৩২),
মৃত রঞ্জু মিয়ার ছেলে মো: মরম কাজী(৪০), দানিস মিয়ার ছেলে মো: শামত আলী(শামু) (৩২),
মো: মোক্তার হোসেন (২৬), মো: আক্তার হোসেন (২৮), আবদুল কাদিরের ছেলে মো: বকুল মিয়া (৪০),
বকুল মিয়ার ছেলে মো: আব্দুল হান্নান (২৪), মো: আব্দুল মন্নান (২২),
মরম আলীর ছেলে মো: মনছুর আলী (২৪), মো: সৈয়দ আলীর ছেলে মো: ইকবাল হোসেন (৩৪),
আবুল কাশেমের ছেলে মো: নুর গণি (২৫), মৃত আশ্রব আলীর ছেলে মো: জামাল মিয়া (৩৪), রতন মিয়ার ছেলে মো: ফজল মিয়া (২৮),
মো: হযরত আলী(২৫), মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো: রতন মিয়া (৫৫), মৃত রেনু মিয়ার মেয়ে মোছাঃ তাজমল বেগম (৩৮),
শুক্কুর আলীর স্ত্রী তাজমহল বেগম (২৮), মৃত কালা মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ জামিনা বেগম (৫৫), খলিল মিয়ার ছেলে মো: নুরুল ইসলাম (২৮),
একই ইউনিয়নের কামার ভিটা গ্রামের মৃত ইছমত আলীর ছেলে মো: রেনু মিয়া (৪৫)।
Pingback: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা! - দ্যা বাংলা ওয়াল