বেনাপোল কাস্টম হাউজে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি হাজার কোটি
বেনাপোল কাস্টম হাউজে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি হাজার কোটি টাকা।
দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল কাস্টম হাউসে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের গত ৫ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার
বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এখানে ঘাটতি হয়েছে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা।
এসময় শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ৮টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও তিন কাস্টমস কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবস পালিত
বছর শেষে আরো বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গেল কয়েক বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে ব্যাপক হারে মিথ্যা ঘোষনায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায়
কোন ভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না।
কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে দিচ্ছেন এ শুল্ক ফাঁকি।
গত মাসেই শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৮টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও ৪ সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
এছাড়া কাস্টমসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকেও শুল্কফাঁকিতে সহযোগিতার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাতিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা হলেন, মেসার্স রিমু এন্টারপ্রাইজ, তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মাহিবি এন্টারপ্রাইজ,
সানি ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মুক্তি এন্টারপ্রাইজ ও রিয়াংকা এন্টারপ্রাইজ।
কুড়িগ্রামে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ পালিত
রাজস্ব ফাঁকির সহযোগিতার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন, রাজস্ব কর্মকর্তা নাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান।
তবে হাতে গোনা কয়েকজন ধরা পড়লেও অধিকাংশ দুর্নীতিবাজরা থাকছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। ফলে কোনভাবে রোধ হচ্ছে না শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি।
উপরান্ত শুল্ক ফাঁকিরোধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিত্য নতুন আইন করে সাধারন আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজে এর ফলে অনেকে এ বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করছে।
Pingback: সাড়ে ১৯ কেজি সোনা চুরির মামলায় কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি - দ্যা বাংলা ওয়াল