দেশে ভাস্কর্য আছে থাকবে এবং আরও স্থাপন করা হবে
দেশে ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও
ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধ অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘এখন কিন্তু বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। এখন বাংলাদেশের ঝুড়ি খাদ্যে পরিপূর্ণ।
এখন কিন্তু কেউ আর খালি গায়ে, খালি পায়ে, খালি পেটে থাকে না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরই কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ রোপণ করেন।
আজ তারই উত্তরসূরীরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে।
যারা ভাস্কর্যে আঘাত হানে, তারা শুধু ভাস্কর্য আঘাত হানে না, তারা বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হেনেছে।
নোয়াখালী হাতিয়া বরযাত্রীবাহী মেঘনায় ট্রলার ডুবি
তারা অসাম্প্রদায়িকতা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত হেনেছে।
দেশে ভাস্কর্য আছে থাকবে কিন্তু এটা চলতে পারে না। নতুন প্রজন্ম সেটা কোনোদিনও মেনে নিতে পারে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আহ্বান জানাচ্ছি জেগে ওঠো শিশুগণ, জেগে ওঠো নতুন প্রজন্ম, রুখে দাঁড়াও নারীগণ।
আজ যারা ওই ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে তাদের কালোহাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও।
তাদের আস্তানা ভেঙেচুড়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করে দাও। ভাস্কর্য আছে, ভাস্কর্য থাকবে, আরও ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে।
কক্সবাজারে বালি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য কতে সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মৌলবাদীদের একটা কথা মনে রাখতে হবে আপনারা নারীদের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন।
নারী অধিকারের বিরুদ্ধে আপনারা কথা বলেছেন। কোন অধিকারে আপনারা বলেন। আপনাদের মা কি নারী না?
আপনার বোন কি নারী না? আমি নারীদের বলব আপনারাও আজ বের হয়ে আসেন।
যে নারীরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুত্রহারা হবেন জেনেও পুত্রকে রণক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন।
বিধবা হবেন জেনেও নারীরা তাদের স্বামীকে রণক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন। ধর্ষিত হবেন জেনেও নারীরা অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন।
সে নারীরা কখনও মৌলবাদীদের এদেশে ঠাঁই দেবে না। ৩০ লাখ শহীদের রক্তেভেজা এই মাটিতে মৌলবাদীদের জায়গা হবে না।
নওগাঁয় বিজয় দিবসে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা
তাদের জায়গা হবে পাকিস্তানে। তাই পাকিস্তানের রাজাকার পাকিস্তানে ফিরে যা, না হলে তোদের জ্যান্তকবর রচনা করা হবে।’
শিশুদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় একদিনে আসেনি।
৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন ও ৭১’র বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ।
বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ, কী এক আত্মবিশ্বাস। নয় মাস সুদীর্ঘ যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়।
মা-বাবাদের বলছি আপনারা সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শেখান। স্বাধীনতান কথা বলেন, মূল্যবোধ-নৈতিকতার কথা বলেন।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন সবাইতে অভিনন্দন জানাই।’
Pingback: আল্লামা শফীকে হত্যার অভিযোগে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা - দ্যা বাংলা ওয়াল