জীবনশৈলীদেশব্যাপীপরিবেশ ও সমাজশিরোনামসব খবরসর্বশেষ

দ্বিতীয় ধাপে আসছে ভাসানচরের পথে ১৮০৪ রোহিঙ্গা

নোয়াখালী প্রতিনিধি: দ্বিতীয় ধাপে আসছে ভাসানচরের পথে ১৮০৪ রোহিঙ্গা। দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে রওনা দিয়েছেন ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা।

পতেঙ্গা থেকে সাতটি জাহাজে করে তাদেরকে নতুন এই ক্যাম্পে নেয়া হচ্ছে।

স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক আগ্রহী এমন প্রায় সাড়ে চারশ পরিবারের এ সকল সদস্যদের সেখানে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন

রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আজ সকালে ভাসানচরে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে নৌবাহিনী।

সকাল ৮টা থেকে এ সকল রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর জাহাজে তোলা হয়।

যা বিভিন্ন টেলিভশনে সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়।’শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সকাল ১০টার দিকে সাতটি জাহাজে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে পতেঙ্গা ত্যাগ করে।

নড়াইলে মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান আরার আগমনে সংবর্ধনা

এর আগে উখিয়ে মূল ক্যাম্প ছাড়াও পুরো ৩৪টি ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা ট্রানজিট পয়েন্টে গত রোববার বিকেল থেকে আসতে শুরু করে।

দ্বিতীয় ধাপে আসছে বাকিরা গতকাল সোমবার সকাল ও দুপুরে এসে পৌঁছায়।সেখান থেকে ৩০টি বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।

প্রথম দফার ন্যায় এবারও উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে তিন দলে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামে আসে।

এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা দেখা গেছে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হয়। সেবার নৌবাহিনীর মোট আটটি জাহাজে করে

নিয়ে যাওয়া হয়।সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের এই দলটি থাকবে সেখানকার অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে।

শার্শায় চাতাল মালিক ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা

এরই মধ্যে ভাসানচরে মজুদ করা হয়েছে তিন মাসের খাদ্যপণ্য।সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন,

‘অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে।

আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

প্রকল্পটিতে যেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৬০ শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০টি।

’তিনি বলেন, ‘সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের

ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল।

এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসান চরে পাঠানো হয়।

তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসান চরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানান তিনি।

/ মোঃ ইব্রাহিম

The Bangla Wall
http://shopno-tv.com/
https://shopnotelevision.wixsite.com/reporters
Shopno Television
Shopno Television
http://shopno-tv.com/

One thought on “দ্বিতীয় ধাপে আসছে ভাসানচরের পথে ১৮০৪ রোহিঙ্গা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *