করোনা সংকটে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে সম্প্রীতির হবিগঞ্জ
করোনা সংকটে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে সম্প্রীতির হবিগঞ্জ সামাজিক সংগঠন।
করোনা সংকটে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাব হাসবে জীবন বাঁচবে প্রাণ, আমরা করবো রক্তদান স্লোগানকে ধারণ করে
মুমূর্ষু রোগীদের স্বেচ্ছায় রক্তদান করে যাচ্ছে ‘সম্প্রীতির হবিগঞ্জ সামাজিক সংগঠন।
করোনা সঙ্কটকে পাশ কাটিয়ে এ সংগঠনের তরুণরা ছুটে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মেডিক্যালে।
কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না নিয়ে রক্তদান শেষে ফিরে আসছেন নিজ গৃহে বা কর্মস্থলে।
এমনটাই জানালেন ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাকারিয়া আমিন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক এক মহামারি যুদ্ধে বাংলাদেশ।
আগে যেখানে একজন অসুস্থ মানুষ খুব সহজে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে সকল কাজ অনায়াসে করতে পারতেন
এখন সেই কাজটি চাইলে এতো সহজে সমাধান করা যাচ্ছে না।
বাঘারপাড়ায় খাজাবাবা ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণার পরও চালু
তাছাড়া ডায়াগনোসিস, অপারেশনসহ রক্তের প্রয়োজন মেটানো আরও দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় এক দশক ধরে হবিগঞ্জে সামাজিক , মানবাধিকার ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ইমার্জেন্সি অপারেশন রোগী,
এক্সিডেন্ট রোগী, প্রসূতি মায়ের জন্যসহ রক্তের প্রয়োজনীয়তা আমাকে খুব ভাবিয়ে তোলে।
এই সময়ে অসহায় মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগাদা অনুভব করলাম।
প্রায় তিনমাস আগে থেকে অনলাইনভিত্তিক কিছু উদ্যমী আত্মবিশ্বাসী মানবিক তরুণ নিয়ে শুরু করে সম্প্রীতির হবিগঞ্জ সামাজিক সংগঠন।
হবিগঞ্জ ও নিজ জন্মস্থান বাহুবলে প্রায় এক দশক ধরে তরুণদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকে রাত এই সকল তরুণকে আমি পেয়েছি।
যখন রক্তের প্রয়োজনে নক দিয়েছি নাওয়া খাওয়া রেখে এই সকল স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা হাসপাতালে ছুটে আসছে।
এই মহামারিতে মানুষ যেখানে নিজ ইচ্ছায় হাসপাতালে আসতে ভয় পায় সেখানে সম্প্রীতির হবিগঞ্জ সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা
করোনা সংকটে মুমূর্ষু রোগীদের বাঁচানোর তাগিদে হাসপাতালে চলে আসেন।
নড়াইল কালেক্টরেট স্কুল ভবনের নির্মান কাজের উদ্বোধন
জাকারিয়া আমিন বলেন, আমি সত্যিই এই সকল স্বেচ্ছাসেবী মানবতার সৈনিকের মানবিক বিবেক দেখে অবাক হয়ে যাই।
আমরা এই ক্লাবকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখছি। আমরা ইতোমধ্যে অনেক মুমূর্ষু মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে সহায়তা করেছি।
আমাদের ক্লাবের সদস্যরা রক্তের প্রয়োজন হলে নিজে গিয়ে হাসপাতালে রোগীকে রক্তদান করে আসেন।
হবিগঞ্জে রক্তদাতা সংগঠন বা ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা জনসংখ্যার বিবেচনায় খুব অপ্রতুল।
আর এই অপ্রতুলতার কারণে রক্তের অভাবে অনেক সময় অনেক প্রিয় মুখ হারিয়ে যায়।
তাছাড়া অনেক সময় প্রয়োজনীয় সময়ে রক্ত পাওয়া যায় না। তখন দরকার পড়ে ব্লাড ব্যাংক।
তাই আমরা এই ক্লাবকে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ ব্লাড ব্যাংকে রুপান্তর করার স্বপ্ন দেখছি।
Pingback: দুর্যোগে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে পারবে শিক্ষা বোর্ড - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: কলাবাগানের ঘটনা ‘পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম’: আইজিপি - দ্যা বাংলা ওয়াল