কুড়িগ্রামে ধরলা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন
কুড়িগ্রামে ধরলা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন নীরব দর্শক প্রশাসন।
কুড়িগ্রামে ধরলা নদী থেকে বেপরোয়াভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে উত্তর ধরলার তিন উপজেলার ৭ লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ ধরলা সেতু এবং কুড়িগ্রাম পুরাতন শহর রক্ষা বাঁধটি।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বালু অবৈধ উত্তোলনের বিষয়টি সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম শহর ঘেঁষে প্রবাহমান ধরলা নদী। এই নদীটি জেলার ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী এবং ফুলবাড়ি উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুটি জেলার মানুষ দুঃখ ঘোচাতে নির্মাণ করলেও এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক নেতাদের
নাম ভাঙিয়ে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী বালু সিন্ডিকেট।
নড়াইলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প শীতবস্ত্র বিতরণ
সপ্তাহ খানেক আগে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত সিএন্ডবি ঘাটের পশ্চিম প্রান্তে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে
বালু উত্তোলনের জন্য বিশেষ কায়দায় তৈরি করা ব্রিজটি ভেঙে দেয়।
পরে ১ সপ্তাহ পার না হতেই আবারো জোসনার ঘাট এবং কুড়িগ্রাম শহর রক্ষা টি-বাধ ঘেঁষে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে ওই সিন্ডিকেটটি।
ঢাকা জেলার সাভারে একাধিক মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে ধরলা নদী থেকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গোলজার, আজগার, রাজু, আশরাফুল সহ আরো অনেকে স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে
ভয়ঙ্কর হুমকির মুখে থাকা শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে নদীর উপর বাঁশের তৈরি বিশেষ সেতু নির্মাণ করে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর ভর্তি করে বালু পাচার করছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এই সিন্ডিকেটের নাম বলতে আমরা ভয় পাই।
কারণ এরা এলাকার প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নিরাপদে বাস করে। এদেও বিরুদ্ধে বললে এরা নানাভাবে হুমকি এবং পথেঘাটে লাঞ্ছিত করে।
এমতাবস্থায় স্থানীয়রা দ্রæত বালু উত্তোলন বন্ধ করে কুড়িগ্রাম শহর রক্ষা বাঁধ রক্ষার দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম-বালু উত্তোলন বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Pingback: রংপুরে টি২০ টুর্নামেন্ট চুড়ান্ত ম্যাচে চ্যাম্পিয়ান বেগম রোকেয়া - দ্যা বাংলা ওয়াল