দেশব্যাপীরাজনীতিজীবনশৈলীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

নড়াইলে আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নড়াইলে হতদরিদ্র কৃষক সুলতান নিরুপায় হয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন আমি রুলিং পার্টির তিন তিন বারের জেলা কমিটির প্রেসিডেন্ট।

এত বড় সাহস আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে দরখাস্ত দেয় আবার সংবাদ সম্মেলনের কথা বলে। আমি দেখে নেব।

মোটা টাকায় মানহানি মামলা করবো। এমন ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন নড়াইল গ্রামের ফজর আলী খন্দকারের

ছোট পুত্র হতদরিদ্র কৃষক সুলতান আলী খন্দকার ও সামছুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পৌরসভার কুড়িগ্রামের নিজ বাড়িতে

এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন,পতিবেশি ও পরিবারের সদস্য সৈয়দ খন্দকার,রিন্টু খন্দকার, হাজেরা বেগম,জোসনা বেগম প্রমূখ।

সুলতান আলী খন্দকার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আপনারা জাতির বিবেক। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি।

ফুলবাড়ীতে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন

আপনারা ঘটনাটি মিডিয়ায় তুলে ধরে বাধিত করবেন বলে বিশ্বাস করি।ঘটনার বিবরণ কুড়িগ্রাম মৌজার ২৭০ ও অন্য আরো খতিয়ানের

২০, ৪২১.৪২২, ৪২৩, ৪২৪, ৪২৫, ৪২৯, ৪৩০, ৪৩১, ৪৩২ দাগের ৫ একের ৬০ শতক আমাদের তিন শরিকের জমি নিয়ে গণপূর্ত অফিসের

ইমারত বিভাগের সাথে মামলায় আইনজীবি হিসাবে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস কে নিয়োজিত করি।

দেওয়ানী মামলা নং ৪৭৯/১৯৮০। এই মামলাটি চলমান না থাকায় মামলাটি খারিজ হয়।

নড়াইলে আওয়ামীলীগের যেহেতু এই মামলায় আমাদের পূর্ববর্তী শরিকগন সুবাস বোসকে আইনজীবি হিসেবে রেখেছিলেন।

সেহেতু পরবর্তিতে আমরা স্বত্তের মোকদ্দমা করার জন্য ১৯৯৯ সালে এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস কে আইনজীবি হিসেবে থাকার জন্য অনুরোধ করি এবং

ফাইলপত্র দিয়ে আসি। তিনি (সুবাস বোস) আমাদের ২/৩ মাস আজ করছি কাল করছি করে ঘুরাতে থাকেন এবং

শেষ পর্যন্ত সুবাস বোস আমাদের আইনজীবি হিসেবে থাকেন নাই।

পরবর্তিতে আমরা ১৯৯৯ সালে এ্যাডভোকেট রব্উিল ইসলামকে আইনজীবি নিয়োগ করে স্বত্তের মোকদ্দমা করি। যার মামলা নং- ৮০/৯৯।

এই মামলায় রায় আমাদের পক্ষে আসে অর্থাৎ আমরা ডিগ্রি প্রাপ্ত হই। তখন এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন,এই জমির অনেক মূল্য প্রশাসনের নজরে আছে।

এই ভাবে সহজে তোমরা জমি পাবানা। যদি উক্ত জমির এক তৃতীয়াংশ ছেড়ে দেও তাহলে আমি চেষ্টা করে তোমাদের পক্ষে পাওয়ায় দেবো।

আমরা জমি দিতে রাজি হইনা। পরবর্তিতে গণপূর্ত অফিসের ইমারত বিভাগ উচ্চ আদালতে (১৪৫/২০০১ নং) আপিল করে।

তখন এক তৃতীয়াংশ জমি না দেওয়ার কারনে এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস উক্ত মামলায় আমাদের পক্ষের আইনজীবি না হয়ে বিপক্ষের আইনজীবি হন।

এবং আপিল করায় উক্ত জমির বিষয়ে রিমান্ড হিসাবে নি¤œকোর্টে (সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট জর্জকোর্ট, মামলা নং ১৬৫/২০১৬) পূনর্বিবেচনায় যায়।

সুবাস বোস আমাদের পক্ষের আইনজীবি থাকাকালে মামলার খুটিনাটি,গোপন তথ্য,জরুরী কাগজ দলিল পত্র তার কাছে ছিল।

বিধায় সকল গোপন ও প্রয়োজনীয় তথ্য সে জানে। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই।

বার বার অনুরোধ করা সত্তে¡ও তিনি (এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস) বিবাদী পক্ষ থেকে সরে দাড়াননি।

যে কারনে ২৮/১১/২০১৯ তারিখে আমি বিষয়টির সূষ্ঠু সমাধান বা বিচারের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আবেদন করি।

যার পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সুবাস বাবুকে শোকজ করে। বার কাউন্সিলের নোটিশ পেয়ে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।

নড়াইলে আওয়ামীলীগের এমনকি আমার আত্বীয়স্বজনকে ও নানাবিধ ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তিনি (এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস) ক্ষমতাশালী।

আমি আমার পরিবার ও পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাাহীনতায় ভ’গছি। একজন খ্যাতনামা আইনজীবি কিভাবে করেন সত্যিই আমরা অবাক ও বিশ্মিত।

তাহলে আমরা সাধারন মানুষ কি বিশ্বাসে কোন বিচারে আইনজীবি নিয়োগ করবো।

যেহেতু আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি সেহেতু অন্যরা যাতে এরকম আইনজীবি দ্বারা আর যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং

আমাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সব কিছুর প্রতিবাদ স্বরুপ আজকের এই সম্মেলন করা।

ফুলবাড়ীতে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এ বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন আমি কোন জমি চাইনি অনেকদিন আগের কথা আমার স্বরণে নাই।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের শোকজের বিষয়ে এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, আপনাদের সাংবাদিকদের কাছে বলার কিছু নাই।

আমি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাথে বুঝব। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের শোকজের জবাব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন,

জবাব দিয়েছি কি দিনাই এটা আমার ব্যাপার। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে কয়েকজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ ও আইনজীবি বলেন,

বাংলাদেশ বার ক্উান্সিলের আ্ইনে আছে বাদী পক্ষে আইনজীবি বিবাদী পক্ষের আইনজীবি হতে পারবেনা।

যদি হয় সেটা বেআইনী।তবে এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এ ধরনের কাজ অহরহ করে থাকেন।

যার প্রমান হাটবাড়িয়া জমিদারদের জমি ভ’মিদস্যুদের পাইয়ে দিতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

নড়াইল সরকারী বালক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার দক্ষিন পার্শ্বের জমির মামলায় ওই রকম শর্তে মামলা পরিচালনা করে জমির মালিক হয়ে গেছেন।

এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পেশার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে টাকার পিছেন ছোটেন।

এভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন এবং ভারতেও পাচার করছেন। শোনা যায় ভারতে তার একাধিক বাড়ি আছে।

এবং তিনি ভারতের ভোটার। একজন প্রবীণ আইনজীবির কাছ এমনটা আশা করা যায়না।

উক্ত বিষয়ে নড়াইল জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবোনা।

নড়াইল জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট হেমায়েতুল্লাহ হিরু জানান, ১৯৭২ সালের প্রফেশনাল এটিকেট এ্যাক্ট এ বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

/ শুভ সরকার

The Bangla Wall
http://shopno-tv.com/
https://shopnotelevision.wixsite.com/reporters
Shopno Television
Shopno Television
http://shopno-tv.com/

নড়াইল ডিষ্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট

Goutam kumar sarkar (Shuvo) Father: Kamalesh Chandra Sarkar. Mother: Ava Rani Sarkar. Date of birth : 14/08/1992. National ID No: 19926515231000065. Cell: +8801617-428342/ 01736926888 shuvosarkar140891@gmail.com BA Pass (3 years) Present Address Village: Kurigram, PO: Ratangonj, PS: Narail Sadar, Narail

One thought on “নড়াইলে আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *