সুনামগঞ্জের আবারো ডোবা শুকিয়ে মাছ লুটপাট

সুনামগঞ্জের খামতিয়র গ্রামের হাওরে সালিশে ডোবার বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ার পরও নজির গংরা আবারো ডোবা শুকিয়ে মাছ লুটপাট।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের খামতিয়র গ্রামের হাওরে চাদাঁ না দেয়ায় ডোবার তিন লাখ টাকার মাছ লুটপাটের সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও

অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার থানা পুলিশ ও গন্যমান্য সালিশ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে ডেকে

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর লিখিত অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়।

কিন্তু এই নিস্পত্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল খামতিয়র গ্রামের মো. আনজব আলীর মালিকানাধীন ডোবাটিতে একই গ্রামের নজির মিয়া,

মো. আব্দুল ওয়াব ও ইকবাল হোসেন জোরপূর্বক ডোবাটি শুকিয়ে প্রায় তিনলাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিস্পত্তিতে

এই ডোবাটিতে যে বা যারাই প্রতিবছর সেচ দিয়ে মৎস্য আহরণ করবেন তারা নিবেন ৩ ভাগের একভাগ আর আনজব আলী নিবেন দুইভাগ।

এমন শর্ত সাপেক্ষে উভয়পক্ষের সম্মতিতেই সদর মডেল থানায় পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সালিশ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে লিখিতভাবে

থানায় অভিযোগ প্রত্যাহারসহ বিষয়টি নিস্পত্তি হলেও গত কয়েকটি পূর্বে খামতিয়র গ্রামের নজির মিয়া,

মো. আব্দুল ওয়াব ও ইকবাল হোসেন গংরা আপোস নামায় অঙ্গীকার করার শর্ত ভঙ্গ করে আবারো এই ডোবাটি শুকিয়ে মাছ লুটপাঠ করে নিয়ে যান

বলে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট অভিযোগ করেন ডোবার মালিক আনজব আলী।

তিনি আরো জানান বিষয়টি নিস্পত্তির আগে নজির মিয়া গংরা পেশীশক্তির জোরে তার উপর কয়েকবার হামলা করে আহতকরেছিল এবং

বিভিন্নভাবে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে হুমকি দামকী দিয়ে আসছিল।

তিনি পুলিশ প্রশাসনের নিকট আবেদন জানান পুলিশের কর্মকর্তা ও সালিশ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ার পরও

আনজব আলীকে ডোবার দুই অংশ না দিয়ে কিভাবে আইন অমান্য করে ডোবাটি সেচ দিয়ে পুরো ডোবার মাছ লুট করে নিয়ে গেল এমন প্রশ্ন তার।

তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।

সুনামগঞ্জের আবারো এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জসদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান জানান,

নিস্পত্তির বিষয়টিকে উপেক্ষা করে কেন আবারো প্রতিপক্ষের লোকজন ডোবার মাছ লুটপাঠ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।