ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে দু‘বাংলার ভাষা প্রেমীদের মিলন মেলা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে দু‘বাংলার ভাষা প্রেমীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত।
ভাষার টান আর মনের আবেগে কোভিড-১৯ উপেক্ষিত করে স্বল্প পরিসরে হলেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রোববার সকালে বসেছে
বেনাপোল চেকপোষ্ট জিরো পয়েন্টে (ভারতীয় অংশে) দু-বাংলার ভাষা প্রেমীদের মিলন মেলা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একুশে মঞ্চ বসে দু‘বাংলার মিলন মেলা।
ভারতীয় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দু-বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষদের মিলন মেলা উপলক্ষে নির্মান করা হয় একুশে মঞ্চ।
এবারের দু’বাংলার মিলন মেলার আয়োজন করেছেন দুই বাংলার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদ।
তবে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে এবার মিলন মেলা অনুষ্ঠান স্বল্প পরিসরে করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ
বেনাপোলে কোন অনুষ্ঠান না হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ১০০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেছেন ভারতীয় একুশের অনুষ্ঠানে।
প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে পালিত হয় যৌথভাবে। এবারই ব্যতিক্রম করোনার কারণে।
এছাড়া সাংবাদিকদের প্রবেশেও থাকে বাধা। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫ জন সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি মেলে।
একুশের মিলন মেলা অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন এবং
ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বনগাঁর পৌর মেয়র শঙ্কর আঢ্য। ¬সকালে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই নিজ নিজ ভূ-খন্ডে অপেক্ষায় ছিলেন আয়োজকরা।
তারপর সীমানা পেরিয়ে শূন্যরেখায় পা রাখেন দুই’দেশের প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য,
বেনাপোলে ভূয়া এনএসআই কর্মকর্তা গ্রেফতার
যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান,
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মনজু, জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ভারতের বনগাঁর পৌর মেয়র শঙ্কর আঢ্য,
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিধায়ক ও মেন্টর গোপাল শেঠ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ গোপাল ব্যানার্জী,
বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন সংসদ শ্রীমত্তা মমতা ঠাকুরসহ উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা, কবি, সাহিত্যকরা।
অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের স্মরণে
পুরো বিশ্ব আজ একুশে ফেব্রæয়ারি পালন করেন মাতৃভাষার দিবস হিসেবে।
ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে এসময় তাদের মুখে ধব্বনিত হয় ”আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি”।

Pingback: নড়াইলের কালিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু - দ্যা বাংলা ওয়াল