কেরানীগঞ্জে কুকুরের মাথা ও চামড়াসহ কসাই আটক
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ কেরানীগঞ্জে কুকুরের মাথা ও চামড়াসহ কসাই আটক।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকা থেকে কুকুরের মাথা, নাড়িভুড়ি ও চামড়াসহ
সুরুজ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
গতকাল দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ হাউজিং থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে
পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক যুবক হাসনাবাদ হাউজিং কমিউনিটি সেন্টার রোডের হাজি জাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো এবং
স্বপ্ন সপ এর বিপরীত পাশে জাকির মাংস বিতাণে চাকরি করতো।
আজও ফিরেছে ২৫০ বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী : বেনাপোলে
তবে গত ১০/১৫ দিন যাবত তার চাকরি ছিলোনা বলে জানান জাকির মাংস বিতানের মালিক।
তার গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাও থানায়। সে তিন মাস ধরে এ এলাকায় বসবাস করছিলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক প্রতিবেশী জানান, তার রুমে লাল রঙের একটি কুকুরের বাচ্চা দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে
সে এটা লালনপালনের জন্য এনেছে বলে জানায়। পরে আমার স্ত্রী তার রুমের রক্ত মুছতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে এটা কিসের রক্ত?
আমার স্ত্রীর সন্ধেহ হলে সে আমাকে বলে কসাই কিসের যেনো রক্ত মুছতেছে।
পরে আমি আরও কয়েকজনকে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করি কুকুরের বাচ্চাটা কোথায়, সে বলে ছেড়ে দিয়েছি।
তবে রক্ত দেখে সবার সন্দেহ হয় সে কুকুর টা জবেহ করেছে।
অত:পর বহু জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে স্বীকার করে কুকুরের বাচ্চা জবেহ করে এক মহিলার কাছে বিক্রি করেছে সে।
কেরানীগঞ্জে পরে পাশের এক ডাশটবিন থেকে কুকুরের মাথা নাড়িভুড়িও চামড়া উদ্ধার করে উত্তমমধ্যম শেষে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর পড়শী জানান, আগে আমাদের আশেপাশে বহু কুকুরের বাচ্চা ছিলো কিন্তু এখন দুই একটি ছাড়া কোন বাচ্চা দেখা যাচ্ছেনা।
১২ কেজি গাঁজাসহ পাবনা সদর থানার এসআই গ্রেফতার
আমাদের ধারণা সে এগুলো জবেহ করে বিক্রি করেছে। সে মাদকাসক্ত বলেও জানায় স্থানীয়রা
ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সঞ্জয় মালু কসাইর সহযোগীকে আটকের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান,
আমরা সুরুজ নামে এক মাদকাসক্তকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি একটি কুকুরের বাচ্চা তার হাতে কামড় দিয়েছে,
পরে রাগে সে কুকুরের বাচ্চাটিকে জবেহ করে পাশের ডাশটবিনে ফেলে দিয়েছে।
তবে এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
আর কেউ যদি এনিয়ে কোন অভিযোগ করে আমরা মামলা নিতে প্রস্তুত আছি।#


Pingback: পাবনা ভাড়ারা জমিদার জায়েদ আলী খানের নাতি আর নেই - দ্যা বাংলা ওয়াল