রাজধানীতে শিশু মুরছালিন হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার
রাজধানীতে শিশু মুরছালিন হত্যার অভিযোগে দাদা ও চাচাত ভাই গ্রেফতার।
শিশু মুরছালিনের লাশ উদ্ধার হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কিশোর অপরাধী নজরুল মন্ডলের ছেলে মোঃ শাকিল আহম্মেদ রনি ও

মৃত মোহাম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা নিহত মুরছালিনের দাদা ও চাচাতো ভাই। থানা সূত্রে জানা যায,
কিশোর অপরাধী শাকিল আহম্মেদ রনি (১৫) সে নিজে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে।
পাংশা মডেল থানার লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, ১৬ মে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখে মুরছালিন তাদের বাড়িতে।
নবীগঞ্জে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৩ জনের আত্মহত্যা
তার ভাই আরিয়ানের সাথে খেলা করছে। তখন সে মুখ মুছতে মুছতে বাইরে গিয়ে দাঁড়ায় তখন মুরছালিনও তার সাথে বাইরে যায়।
এমন সময় তার চাচা নবাব জমি দেখে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় মুরছালিনকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে
মুরছালিন বাড়িতে যেতে রাজী না হওয়ায় চাচা একাই বাড়িতে চলে যায়। তারপর মুরছালিন বাড়ির মধ্যে গিয়ে আরিয়ানের সাথে খেলা করতে থাকে।
খেলতে খেলতে মুরছালিন তার ভাই আরিয়ানকে চড় মারতে দেখে রনি মুরছালিনকে একটি চড় মারে।
এতে মুরছালিন পাশে দেয়ালের সাথে লেগে সেন্সলেস হয়ে যায়। তখন সে তাড়াতাড়ি করিয়া মুরছালিনকে পাশে থাকা হাপ পানি ভরা বালতিতে নিয়ে রাখে।
তারপর মুরছালিনকে একটি সাদা বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে বালতির মধ্যে রেখে দেয়ে।
রনির দাদা হাবিবুর রহমান লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী বছিরের পাটক্ষেতে বস্তাবন্দী লাশ ফেলে আসে।
রাজধানীতে শিশু মুরছালিন হত্যার এ মামলায় শিশু মুরছালিনের দাদা হাবিবুর রহমান ও তার চাচাত ভাই শাকিল আহম্মেদ রণিকে
শুক্রবার গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
বেনাপোল-বাগআঁচড়া ডাবল লেনের কাজ এগিয়ে চলছে
পাংশা মডেল থানা সুত্রে জানা গেছে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম,এম শাকিলুজ্জামান এর নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও
অতিরিক্ত দায়িত্ব পাংশা সার্কেল মোঃ শরিফউজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন’র নেতৃত্বে
এস আই মোঃ জুয়েল রানা, এস আই মোঃ কামাল হোসেন, এস আই নবীন বিশ্বাস সঙ্গীয় পুলিশ দল অভিযান চালিয়ে
শিশু মুরছালিন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ শাহাদাত হোসেন জানান,
লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হই সেইসাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতার করে
আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে ।
পরে আদালত আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: সকলের সহযোগিতায় সুস্থ জীবনে ফিরতে পারে আলমগীর - দ্যা বাংলা ওয়াল