সাতক্ষীরায় ইয়াসের প্রভাবে বইছে দমকা হাওয়া
সাতক্ষীরায় ইয়াসের প্রভাবে বইছে দমকা হাওয়া।
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রাভাবে বয়ে চলেছে প্রভাবে প্রভাবে বয়ে চলেছে দমকা হাওয়া। সেই সাথে রয়েছে হালকা হালকা বৃষ্টি।
বুধবার ভোর থেকে থেমে থেমে দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে ভারি ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। নদী প্রচণ্ড উত্তাল।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে নদীতে জোয়ার শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীতে জোয়ার থাকবে।
পূর্ণিমার ভরাকাটাল চলছে, জোয়ারের মধ্যে যদি যশ আছড়ে পড়ে তাহলে জলোচ্ছ্বাসে
সাতক্ষীরা উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর বানিজ্য বন্ধ
সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরে ৫৫টি স্থানকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসব এলাকায় স্থানীয় মানুষ নিজেদেরকে রক্ষা করতে রাতদিন বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ, পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১৫টি স্থানে
বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
নোয়াখালী সোনাইমুড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন
এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে কোন মানুষ আশ্রয় নেয়নি।
তবে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ।
সাতক্ষীরায় ইয়াসের প্রভাবে এরমধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার
বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবু জার গিফারি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সাতক্ষীরায় আঘাত হানেনি।
১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য।
Pingback: মধুপুরে উপজেলা অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত - দ্যা বাংলা ওয়াল