ঝিকরগাছায় রাজাকারের পুত্র মৎস্যজীবি লীগের আহবায়ক
ঝিকরগাছায় রাজাকারের পুত্র হলেন মৎস্যজীবি লীগের আহবায়ক।
যশোরের ঝিকরগাছায় রাজাকার পুত্র ফারুক হোসেনকে উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের আহবায়ক করায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং
ঐ কমিটি বাতিল করার দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ।
হাজিরবাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও
সম্পাদকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। একই অভিযোগ স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং
জেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলা মৎস্যজীবিলীগের আহবায়ক আবু তোহা ও সদস্য সচিব সেলিম রেজা বাদশা
গত ১ জুন ঝিকরগাছা উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
ঐ কমিটির আহবায়ক ফারুক হোসেন হাজিরবাগ ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের এলাকা স্বীকৃত রাজাকার মোকারম হোসেনের ছেলে।
তার দাদা মান্দার মোড়ল মুসলীম লীগের তৎকালিন নেতা ছিলেন।
ঝিকরগাছায় ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে করোনা, আক্রান্ত ৫৭, মৃত্যু-২
মোকারম হোসেন মহান মুক্তিযুদ্ধে তার ভুমিকা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে এবং রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসাবে তার নেতৃত্বে
এলাকায় খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, লুটপাট হয়েছে ব্যাপকভাবে। এছাড়া তিনি গত বিএনপি জোট সরকার আমলে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত হয়েছে।
ফারুক হোসেনের মা জীবননেছা বিএনপি জোট আমলে বিনাপ্রতিদ্বদ্ধিতায় মহিলা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ফারুক হোসেন ও তার পরিবার স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত।
আগে কোনদিন ঐ পরিবারের কেউ আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত হতে দেখা যায়নি।
তাকে আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের উপজেলা কমিটির আহবায়ক করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে
ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং অবিলম্বে এই রাজাকার পুত্রের কমিটি বাতিল করার দাবী জানিয়েছেন।
নওগাঁর পোরশায় গাজা গাছসহ আটক-০১
বিষ্ণুপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান,
কোন খোঁজখবর না নিয়েই একজন রাজাকারের পুত্রকে উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের আহবায়ক করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনীতি করে আমরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না।
ঝিকরগাছায় রাজাকারের পুত্র হলেন তাই ঐ কমিটি বাতিল করার দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোস্তফা আসাদুজ্জামান জানান, লিখিত অভিযোগের কপি পেয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করবো।
তবে কোন খোঁজখবর না নিয়ে এমন একজন ব্যক্তিকে কমিটির প্রধান করার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান তিনি।
Pingback: বগুড়ায় বৃক্ষ প্রেমিক প্যারালাইসিসে অচল ছবেদ আলী - দ্যা বাংলা ওয়াল