যশোরের শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস করোনার মিলন মেলা!
যশোরের শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস যেন করোনার মিলন মেলা!
যশোর জেলার শার্শা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে মানুষের মাঝে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি এতে আতঙ্কিত উপজেলার জনগন।
যশোর জেলার সকল উপজেলা গুলো কঠোর লকডাউন থাকলেও শার্শা উপজেলা সদরে অবিস্থিত সাব রেজিস্ট্রি অফিসের চিত্র রীতিমত চোখ কপালে উঠার উপক্রম।
বুধবার সরেজমিনে শার্শা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এক জনগণের হাট,
সকলে মিলে করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে যেন জমি কেনা-বিক্রির এক মহা উৎসবে মেতে উঠেছে।
২০ জন মিলে একজন দলিল লেখককে ঘিরে রেখেছে। এ যেন মেলার মাঠে সাপখেলা দেখার মত।
কিছু লোকের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ মানুষের মাস্ক মুখের নিচে, হাতে এবং কিছু লোক পকেটে নিয়ে ঘুরছেন।
সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রাস্তার বিপরিতে আছে খাবার হোটেল।
সেখানের কর্মচারিরা মাস্কবিহীন রাস্তার এপাশে এসে জনগণকে খাবার খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
বেনাপোল পৌরসভা ও শার্শায় লকডাউনে ২৯টি মামলা
শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরেও দেখা গেল একই চিত্র। সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং সামাজিক দূরত্বকে কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে
গায়ে গা লাগিয়ে চলছে মাস্কবিহীন দলিল লেখা ও অন্যান্য কর্মকান্ড। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের গেটেও মানুষের এত ভীড় যে পা রাখার জায়গা নেই।
সকলে অফিসের ভিতরে ঢোকার জন্য চাতক পাখির মত চেয়ে আছে। এ যেন মেলায় রথ দেখার অধীর আগ্রহ।
অথচ খোদ যশোর জেলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ।
একই সময়ে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন। গত দুইদিনে মারা গেছে ১৯ জন।
বেনাপোলে ঋণের টাকার জন্য কর্মীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
যাদের মধ্যে শার্শা উপজেলায় আক্রান্তের হার অনেক বেশি। করোনা সংক্রামণের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ায়
আগামী ৭ দিনের জন্য কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
শার্শার একজন শিক্ষক বলেন, যেখানে শার্শা উপজেলাসহ পুরো জেলা লকডাউন, সেখানে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস খোলা রেখে
প্রশাসন কি ফায়দা পাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।
যশোরের শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এ ব্যাপারে সাব রেজ্রিস্ট্রারের ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, আসলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে আমি জানলাম এবং আমি এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। যেহেতু আমাদের জেলা এবং
উপজেলায় কঠোর লকডাউন চলছে সেহেতু আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো, এটা বন্ধ রাখার জন্য।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: লক্ষ্মীপুর জেলা আদালত ভবন নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি: মামলা - দ্যা বাংলা ওয়াল