বেনাপোলে প্রথম প্রধান শিক্ষিকাকে স্মরণ করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ
বেনাপোলে মেয়েদের বিদ্যালয়মুখী করা প্রথম প্রধান শিক্ষিকাকে স্মরণ করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ।
যশোরের সীমান্তবর্তী এলাকা বেনাপোলে প্রথম কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান নারী শিক্ষিকা ফরিদা রহমানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ফরিদা রহমানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদা রহমান প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মশিয়ুর রহমানের সহধর্মিনী ছিলেন।
ফরিদা রহমান এ বিদ্যালয়টিতেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বিদ্যালয়টির দায়িত্ব নিয়ে গ্রাম থেকে অভিভাবকদের বুঝিয়ে মেয়েদের বিদ্যালয়মুখী করতে নিরলস পরিশ্রম করেন ফরিদা রহমান।
তিনি না থাকলেও তার হাতে গড়া বিদ্যালয়ে এখন ১৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে।
তবে দীর্ঘ ৪৩ বছরেও স্কুলটি সরকারিকরণ না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ঝড়ে ঘরবাড়ী লন্ড ভন্ড আহত- ৩
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার জানান, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
তখন সীমান্তবর্তী এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
বিশেষ করে বালিকা বিদ্যালয় না থাকায় অনেক বাবা-মা মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেন না। প্রতিভা থাকা সত্তে¡ও বাল্যবিয়েতেই তারা ঝড়ে পড়তো।
ঠিক এমন সময় তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিয়ুর রহমান তার মা মরিয়মের নামে
নিজস্ব জমিতে নিজ অর্থায়নে মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
শার্শায় করোনা পজিটিভ দোকানদারি করছে বহাল তবিয়তে
বিদ্যালয়টির দায়িত্ব নিয়ে গ্রাম থেকে অভিভাবকদের বুঝিয়ে বিদ্যালয়মুখী করতে নিরলস পরিশ্রম করেন ফরিদা রহমান।
মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী জানান,
বেনাপোলে প্রথম প্রধান শিক্ষিকাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে মহাসড়কের পাশে বালিকা বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৪০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। যাদের শিক্ষা প্রদানে ৫ নারী ও ১৪ পুরুষ শিক্ষক নিয়োজিত আছে।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টি আজও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। সরকারি হলে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকেরা অনেক উপকৃত হবেন।
Pingback: বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জিম্মি ভারতের বনগাঁ পার্কিং এ - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: কালকিনিতে লকডাউন : প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি - দ্যা বাংলা ওয়াল