লকডাউন বন্যায় আনন্দ হচ্ছেনা যমুনা চরের শত পরিবারে
লকডাউন ও বন্যায় ঈদের আনন্দ হচ্ছেনা যমুনা চরের শত শত পরিবারের। দুর্বিসহ জীবনযপন।
লকডাউন ও বন্যার প্রভাবে ঈদ আনন্দ বঞ্চিত হচ্ছে যমুনা চরের শত শত পরিবার। তাই যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে শুরু করেছে।
একদিকে করোনা মহামারির কারণে লাগাতার লকডাউন অপরদিকে বন্যার পানি মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে নিরন্তর বয়ে গেছে প্রমত্তা যমুনা নদী।
কৈজুরী, সোনাতনী, জালালপুর, গালা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের দুর্বিসহ জীবন দৈনন্দিন অর্ধাহার-অনাহার দিন কাটে দারিদ্রতা-অভাব বঞ্চনায়।
এরই মাঝে লকডাউন ও বন্যার পানিতে চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারণে কর্মহীন হয়ে পরেছে শ্রমজীবি মানুষ।
ফলে পরিবার,পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।
এমনিতেই প্রতিনিয়ত বন্যা, অনাবৃষ্টি এবং দুর্ভিক্ষের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকারগ্রস্ত যমুনা চরের বাসিন্দারা।
বর্ষাকালীন সময়ে চরাঞ্চলের মানুষের জীবন চিত্র সীমাহীন দুর্ভোগের।
নড়াইলে এগিয়ে চলো বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী প্রদান
যাতায়াত আদিকাল থেকে নৌকার উপর ও বালুচর হেটে নির্ভরশীলসহ শিক্ষা, চিকিৎসা নাজুক অবস্থার মাঝে চরের মানুেষর কাটে জীবন।
বালুচর আবাদ অনুপোযোগী হওয়ায় সেখানে কালাই,সরিষা,বাদামসহ বিভিন্ন ফসল নানা প্রতিকূলতার মধ্যে
আবাদ করার পর বন্যার করাল গ্রাসে প্রতি বছরই তা বিলীন হয়ে যায়। বন্যার সময় চরাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে থাকে হাঁটুসম পানি।
তখন মাচা কিংবা ভেলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে। এছাড়া এখানকার অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন।
জীবনের প্রয়োজনে জীবিকার তাগিদে তারা সারাবছর রাজধানী ঢাকা, মানিকগঞ্জ,টাঙ্গাইল ও নাটোর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শ্রম ফেরি করে।
লকডাউন বন্যায় আনন্দ হচ্ছেনা কিন্তু করোনা মহরামারি কারণে লকডাউনে সবাই বেকারভাবে অলস সময় কাটাচ্ছে।
ঈদের শুভেচ্ছা ফুলবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুনের
চরের অনেকে বর্ষা মৌসুমে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালালেও সিংহভাগ মানুষ এখন কর্মহীন।
আসছে ঈদূল আযহাকে সামনে রেখে কর্মহীন এসব মানুষগুলোর ঈদ আনন্দ যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
অনেকের কুরবানী দেয়ার সামর্থ না থাকায় গোশতহীনভাবে কাটবে চরের মানুষের ঈদ।
বড় চামতারার, দিনমজুর আরদোষ আলী জানান, যমুনার পশ্চিমপাড়ে শ্রম ফেরি করে সংসার চালাই।
বন্যা ও করোনা আমাগো কপাল খাইছে। এহন বউ বাচ্চা লয়া ঈদ করমু কেমনে ? আমাগো খবর তো কেউ লয়না।
রতনদিয়া চরের বারেক আলী জানান,গরীব মানুষের দুঃখ র্দুদশার অন্ত নেই। নদী ভাঙ্গনে আমরা নিঃস্ব, রিক্ত ও অসহায়।
এক সময় ঘরে গোলাভরা ধান ও সর্বদা প্রশান্তি ছিল। এখন কষ্ট আর অশান্তি অস্তি-মজ্জায় মিশে গেছে। কাজ কর্ম নাই, ঈদ আনন্দ করার সাধ্য নাই আমাগো।
যমুনা চরের সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জানান, চরের মানুষ সব হারিয়ে নানা প্রতিকূলতায় চরাঞ্চলে বসবাস করে।
এখন বন্যার পানিতে ভাসছে চরের গ্রামগুলি। কর্মহীন মানুষগুলো পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বা সরকারি যে ত্রান সহায়াতা পেয়েছি তা পর্যাপ্ত নয়।
ফলে চরাঞ্চলের মানুষের প্রতি বরাদ্ধ বৃদ্ধির দাবী জানান তিনি।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: সৌদিতে আলী আহমেদের মৃত্যু পরিবারের আজহারী - দ্যা বাংলা ওয়াল