রাজশাহীতে লকডাউনের পরিস্থিতি পরির্দশনে জেলা প্রশাসক
রাজশাহীতে লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি পরির্দশনে জেলা প্রশাসক।
সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতেও চলছে কঠোর লকডাউন। আজ শনিবার এই লকডাউনের দ্বিতীয় দিন।
বিকেল ৫টার পরে লকডাউন পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সাহেববাজারসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে যান রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
তিনি সাহেববাজারের বিভিন্ন মার্কেট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় রাজশাহীতে সর্বাত্বক লকডাউন সফলভাবে পালন হচ্ছে।
তার প্রমান সাহেববাজরসহ অন্যান্য মার্কেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জনগণের কথা চিন্তা করে সরকার ঈদুল আযহার একদিন পরেই কঠোর লকডাউন দিয়েছে। আজ তার দ্বিতীয় দিন।
হাত খরচের টাকা না পেয়ে শাহজাদপুরে ছাত্রের আত্মহত্যা
দ্বিতীয় দিনেও প্রতিটি রাস্তা ফাঁকা। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জনগণও এখন অনেকটাই বুঝতে পেরেছেন বিধায় লকডাউন সফল করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে করোনার প্রভাব কিছুটা হয়ত কম হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের প্রতিবেদন দেখে অনুমান করা যায়।
গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ১১জন মৃত্যুবরন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত করোনা সংক্রমন রোগি সনাক্ত করতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
‘অক্সিজেন এক্সপ্রেসে’ এলো ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন
এভাবে পরীক্ষা করতে পারলে দ্রুত করোনা সংক্রমন থেকে জনগণকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু মানুষ আছে তারা বাড়িতে বসে থাকতে চায়না। অযথা রাস্তায় নেমে আসেন।
রাজশাহীতে লকডাউনের পরিস্থিতি বাজারে ঘোরাফেরা করেন। আসলে এটা ভাল নয়।
লকডাউন চলাকালীন এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাহিরে না আসার আহ্বান জানান তিনি।
সেইসাথে প্রয়োজনে বাহিরে আসলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
এসময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মুহাম্মদ আবু আসলামসহ
পুলিশ ও আর্মি সদস্যবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
Pingback: ভালুকা রাস্তার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন কাজিম উদ্দিন ধনু - দ্যা বাংলা ওয়াল