আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য গ্রেফতার
আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের দুই সদস্য গ্রেফতার।
বাগেরহাটে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ মুন্সি (৬৫) ও মোঃ রাজু হাওলাদার নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার গভীর রাতে তিনটি চোরাই মোটর সাইকেলসহ এদেরকে আটক করে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আটক রাজু হাওলাদারের নামে অন্তত আটটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতার রাজু হাওলাদার বাগেরহাট জেলার চাল রায়েন্দা গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।
সে শরণখোলা উপজেলা সদরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে অবস্থিত একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের কর্মচারি। রাজু দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত।
রাজশাহীতে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস রোধে বসলো পাঁচটি ক্যামেরা
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ মুন্সি একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে।
তিনি সিন্ডিকেটের কাছ থেকে চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় করে বিক্রি করতেন।
ইউসুফ মুন্সির চাহিদা অনুযায়ী মোটরসাইকেল চুরি করতেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছেন রাজু।
উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের মালিকরা হলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের দৈবজ্ঞহাটি ব্রাঞ্চের সাবেক ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তাফিজুর রহমান।
রামপালের ভাগা গ্রামের দুলাল হাওলাদার এবং যশোরের ভাদুরা গ্রামের সোহাগ হোসেন।
উদ্ধার করা মোটরসাইকেল তিনটির মধ্যে ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি এবং রামপালের ভাগা থেকে দুটি মোটরসাইকেল চুরি করে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিধি নিষেধ ভঙ্গ করায় কারাদন্ড
একই বছর ২০ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে আরও একটি মোটরসাইকেল চুরি করে রাজু।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, সন্দেহজনক ভাবে ঘোরা ফেরা করায়
বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাজুকে আট করে। পরবর্তীতে রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদে
রাজু মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
যার প্ররোচনায় এবং ছত্র ছায়ায় রাজু এই মোটরসাইকেল চুরি করে সেই ইউসুফ মুন্সিকেও আমরা গ্রেফতার করেছি।
এই চুরির সাথে জড়িত অন্যান্যদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের গ্রেফতার দুইজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনও করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের ধারন ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ আসামি - দ্যা বাংলা ওয়াল