শ্যামনগরে ডাক্তারকে শাসালেন উপজেলা চেয়ারম্যান
শ্যামনগরে ডাক্তারকে শাসালেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
জনগণের ভোগান্তি দেখে উপজেলা চেয়ারম্যান সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অজয় সাহাকে প্রকাশ্য শাসালেন।
যার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে স্কুল প্রাঙ্গনে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মর্ডান স্কুল হতে কেন্দ্র স্থানান্তর করে
নকিপুর হরিচরণ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে বারবার অনুরোধ করলেও
তিনি বহাল তরিয়তে অনুপযোগী ওই স্কুলেই টিকা কেন্দ্র বহাল রাখে।
জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় জেলার শ্যামনগরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাওয়া টিকা পেতে ভিড় করছে কেন্দ্রে।
সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে স্কুল প্রাঙ্গনে হাঁটু পানি জমে যায় শ্যামনগর মর্ডান স্কুল।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই স্কুল হতে কেন্দ্র স্থানান্তর করে নকিপুর হরিচরণ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বহাল তরিয়তে অনুপযোগী ওই স্কুলেই টিকা কেন্দ্র বহাল রাখে।
যার কারণে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
মৃত্যুর ৪ বছর পর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর পদ
রবিবার (১ আগস্ট) সকালে টিকা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন।
টিকা নিতে আসা সাধারণ ৪’শ মানুষকে পানির ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ডাক্তার অজয় সাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন
টিকা দেওয়ার জন্য আর কোন জায়গা নেই। পানির ভিতরে কেন সবাইকে দাঁড়িয়ে রেখেছেন। এসময় বিভিন্ন ভাবে ওই কর্মকর্তাকে তিনি শাসাতে থাকেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি স্থানান্তর না করে
নিজের ইচ্ছামত শ্যামনগর মর্ডান স্কুলে টিকাদান কেন্দ্র বহাল রাখায় সরেজমিনে টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করি।
নড়াইলে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩৮ জন
টিকা গ্রহিতাদের দূর্ভোগ লাঘবে জরুরী ভিত্তিতে টিকাদান কেন্দ্র স্থানান্তরের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেছি।
শ্যামনগরে ডাক্তারকে শাসালেন বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অজয় সাহা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
মর্ডান স্কুল মাঠে টিকাদান চলছিলো। স্কুল প্রাঙ্গনে পানি জমে থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে প্রকাশ্য হুমকি ও গালাগাল করেছে।
এনিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
একজন উপজেলা চেয়ারম্যান একজন পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে এমন ধরনের আচরণ করতে পারেননা।
বিষযটি নিয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবেন বলে জানান তিনি।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: হবিগঞ্জে একদিনে করোনায় তিন জনের মৃত্যু - দ্যা বাংলা ওয়াল