বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হয়রানীর শিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হয়রানীর শিকার একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়েছেন তারা।

জিউধরা ইউনিয়নের ঠাকুরাইনতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী হাওলাদারের মৎস্য ঘেরের প্রজেক্টে হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা।

ফলে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলেও অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী হাওলাদার পৈত্রিক সূত্রে ৩০ বিঘা জমিতে বহু বছর ধরে মৎস্য ঘের করে আসছেন।

রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্টের মাসব্যাপী খাবার বিতরণ অব্যাহত

বর্তমানে সেখানে মৎস্য প্রজেক্ট করে মাছের চাষ করছেন। পাশাপাশি সবজি ও নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করছেন।

পূর্ব পুরুষদের সূত্র ধরে প্রায় ১শত বছর এই জমি সেকান্দার আলী ভোগ দখল করলেও পূর্ব শত্রুতার কারনে একই এলাকার প্রভাবশালী একটি দল

গত মঙ্গলবার(৩ আগষ্ট) সকালে মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীর মৎস্য প্রজেক্টেটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা ঘের থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হয়রানীর শিকার মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীর ছেলে প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার বলেন,

স্বাধীনতা বিরোধী প্রজন্মরা এখনও জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের ওপরে নির্যাতন করছে।

পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এর বিরুদ্ধে মামলা

২০০১ সালে এ জমি একই চক্র দখল করে নেয়। ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলে

মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী ফিরে পান তার পৈত্রিক সম্পত্তি।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদ, সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার, কৃষক মজিবর শরীফ সহ অন্যন্যরা বলেন,

মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী মৎস্যঘেরে হামলার ঘটনা দু:খজনক। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিচারের দাবি জানান তারা।

তবে, মোক্তারুজ্জামান খান এ সব অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’।

এ ব্যাপারে থানা ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীর অভিযোগটির তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/ এইচ এম মইনুল ইসলাম