র্যাব-১৩ রংপুর মানব পাচার সংঘবদ্ধ চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
র্যাব-১৩ রংপুর কর্তৃক মানব পাচার সংঘবদ্ধ চক্রের ০২ জন সদস্য গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে
সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে আসছে।
.র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুনাম ও চাহিদার প্রেক্ষিতে বিপুল পরিমাণ জনশক্তি বিদেশে কর্মরত রয়েছে এবং দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় আমাদের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
কিন্তু বাংলাদেশের এক শ্রেণীর অসাধু দালাল চক্র স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসাজসে বিদেশে অবৈধভাবে মানব পাচার করছে।
এ ধরণের প্রতারণার শিকার সাধারণ নিরীহ জনগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এছাড়া জিম্মি/বন্দী দশায় মানব পাচারকারী দ্বারা নির্মমভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে।
এমনি একজন মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হওয়া ভুক্তভোগী তার কাছে থাকা প্রমান স্বরুপ বিভিন্ন কাগজপত্রাদিসহ র্যাব-১৩, রংপুরে একটি অভিযোগ দাখিল করে।
বন্যার পানিতে ফসলের ক্ষেত তলিয়ে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ
উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই লক্ষে র্যাব-১৩, রংপুরের একটি চৌকশ দল ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতাই গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখ ভোরে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি আভিযানিক দল
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানা এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানা এলাকা হতে মানব পাচার সংঘবদ্ধ চক্রের ০২ জন সদস্য
১। মোঃ মুজিবুর রহমান মুছা (৫৫), জেলা-গাইবান্ধা এবং ২। মোঃ অহিদুল ইসলাম (৫০), জেলা-রংপুরদ্বয়’কে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নিকট হতে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
তারা স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা গ্রামের সহজ সরল লোকদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রকার প্রতারণার ফাঁদ সৃষ্টি করে মানব পাচার করত।
নিরিহ লোকজনদের সর্বশান্ত করাই তাদের একমাত্র নেশা ও পেশা। তাদের এহেন কর্মকান্ডের ফলে আজ বহু মানুষ শারীরিক, মানুষিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার।
এমনি একজন ভুক্তভোগী সহজ সরল গ্রামের বাজারে একটি মোবাইল মেরামত দোকানের মালিক পরিবারবর্গ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
একদিন ভুক্তভোগীর দোকানে তারা ফ্লেক্সিলোড করার জন্য আসলে এক কথায় দুই কথায় আলাপ চারিতায় ঐ ভুক্তভোগীর সাথে পরিচয় হয়।
শার্শায় ক্লিনিক থেকে নবজাতক চুরি : ৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি
তারা জানায় যে, অতি অল্প টাকায় অধিক সুযোগ সুবিধায় মধ্যপ্রাচ্যে লোক পাঠিয়ে থাকে এবং এক পর্যায় ভুক্তভোগীকে মধ্যপ্রাচ্যে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব করে।
ভুক্তভোগী বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের কথায় রাজি হয়। গত ২৬ জুন ২০১৭ ইং তারিখে তারা (মানব পাচারকারী) ০২ জন সদস্য
ভুক্তভোগীর দোকানে আসলে ভুক্তভোগী তার পাসপোর্ট প্রদান করে।
তাদের দেওয়া ভিসা অনুযায়ী ভুক্তভোগী গত ০৮/১১/২০১৮ ইং তারিখে কাতার হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গমন করে।
সেখানে গমন করার পর সেখান থেকে মোঃ নাজমুল ইসলাম (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তাদের (মানব পাচারকারী) দলের
সদস্য ভুক্তভোগীকে রিসিভ করে ইরাকস্থ একটি ভবনের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে।
উক্ত কক্ষে ভুক্তভোগীর মত আরো ২১ জন লোক ছিল। উক্ত কক্ষে আটকে রেখে ভুক্তভোগীদেরকে শারীরিক নির্যাতনসহ
২/৩ দিন কিছু না খেতে দিয়ে বিভিন্ন রকমের কষ্ট দিতে থাকে এবং বাড়িতে ফোন করে আরো অর্থের দাবী করে।
তাদের (মানব পাচারকারী) নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভুক্তভোগী আনুমানিক ০১ মাস পর গোপনে আটকে রাখা কক্ষ থেকে পালিয়ে যায় এবং
বিভিন্ন লোকজনের সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ দুতাবাসের সাহায্যে বাংলাদেশে চলে আসে।
তারা সম্প্রতি গ্রেফতারকৃত পাচার চক্রের মূল হোতা লিটন@ ডাক্তার লিটন (৪৫) এর সহযোগী বলে তারা স্বীকার করেছে।
তাদের সাথে জড়িত অন্যান্য মানব পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-১৩ রংপুর মানব আটককৃত মানব পাচারকারীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: পাবনায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শিক্ষক আটক - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: নড়াইলে শত্রুতা করে ঘেরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ - দ্যা বাংলা ওয়াল