পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতির ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী
পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর্জা শামসুল ইসলামের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার বাদ এশা প্রেসক্লাবের নামাজ ঘরে
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট হাফেজ মাওলানা তরিকুল ইসলাম বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সহসম্পাদক আহমেদ হুমুযুন কবীর তপু,
সাহিত্য সম্পাদক পাভেল মৃধা, কল্যাণ সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস, দফতর সম্পাদক মো. মোখলেছুর রহমান খান বিপ্লব,
নির্বাহী সদস্য জহুরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সদস্য রফিকুল ইসলাম সুইট, প্রেসক্লাব সদস্য আলহাজ রাজিউর রহমান রুমি,
এটিএন নিউজ প্রতিনিধি রিজভী জয়সহ অন্যান্য সাংবাদিক গণ।
৩ আক্টোবর মফস্বল সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত ও পাবনা প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি অধুনালুপ্ত
দৈনিক বাংলার সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার মীর্জা শামসুল ইসলামের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী।
মীর্জা শামসুল ইসলাম প্রায় অর্ধশত বছরের সাংবাদিকতায় সাহসী ও বস্তনিষ্ট সংবাদ, প্রতিবেদন ও প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে মফস্বল সাংবাদিতাকে উচ্চস্তরে নিয়ে যান।
তার ক্ষুরধার লিখনীর মধ্য দিয়ে তিনি সারা দেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
তালা উপজেলায় অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত
১৯৬০ সালে শিক্ষা জীবন থেকে শুরু হয় তার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হলেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করেন ১৯৬৪ সালে।
সে সময় তৎকালীন দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অবলুপ্তি পর্যন্ত এ পত্রিকায় সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।
বিশেষ করে ৭০ এর দশকে দৈনিক বাংলায় পাবনা মানসিক হাসপাতাল, মানসিক রোগ এবং সেখানকার রোগীদের জীবনভিত্তিক
তার প্রায় দুইশ পর্বের বিশাল ধারাবাহিক মানবিক প্রতিবেদন সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
১৯৬৭ সালে পাবনার ভূট্টা আন্দোলন, ৮০র দশকে পাবনার ১৯ পর্বের মাদক পরিক্রমাসহ
তার বিভিন্ন্ সাহসী ও বস্তনিষ্ঠ প্রতিবেদন এবং ফিচার তাকে সারা দেশে পরিচিত করে তোলে।
নড়াইলে বিশ্ব পর্যটন দিবস এসএম সুলতান নৌকা বাইচ
বিশেষ করে যে কোন বিষয় ভিত্তিক সংবাদ ও ফিচার তৈরির দক্ষতা এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুকরনীয়।
পেশাগত দক্ষতার স্বকৃতি স্বরুপ ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলা কতৃপক্ষ মফস্বলে প্রথম তাকে ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পদোন্নতি দেন।
১৯৭৬ সালে তিনি সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার হন। সে সময় থেকে তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করেন।
এ ছাড়া ৭০ এ দশকে বাংলাদেশ বেতার এরপর মৃত্যর আগ পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করেছেণ।
১৯৬৮ সালে তিনি সাপ্তাহিক প্রবাহ নামে পাবনা থেকে একটি জাতীয় মান সম্মত পত্রিকা প্রকাশ করেণ।
তার সম্পাদনায় এ পত্রিকাটি ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়।
১৯৯১ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি স্বর্নপদক ও ১৯৮৫ সালে বার্ড পুরস্কারে ভুষিত হন।
মরহুম মীর্জা শামসুল ইসলাম ১৯৪৪ সালের ১৪ জুলাই পাবনার আমিনপুরে সম্ভ্রান্ত মীর্জা পরিবারে জন্ম গ্রহন করেণ।
পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক তিনি ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর ইন্তেকাল করেণ।
Pingback: লক্ষ্মীপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে জেলেদের উপর নিষেধাজ্ঞা - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: কুষ্টিয়ার অগ্রণী ব্যাংকের প্রতারণার শিকার গ্রহকরা, মামলা - দ্যা বাংলা ওয়াল