কুষ্টিয়ার অগ্রণী ব্যাংকের প্রতারণার শিকার গ্রহকরা, মামলা
কুষ্টিয়ার অগ্রণী ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিসের প্রিন্সপ্যাল অফিসার ও কুমারখালীর এলঙ্গীপাড়ার মোতাহার প্রফেসরের ছেলে সুমন রায়হানের প্রতারণার
শিকার হয়ে সদর উপজেলার কমলাপুরের মৃত শামসদ্দিনের ছেলে কুষ্টিয়া আদালতে মামলা করেছে ১৫ লক্ষ টাকার,
পান্টির বিড়িকেয়া গ্রামের মৃত সিরাজুলের ছেলে রেজাউল করিম ১০ লক্ষ টাকা, এলঙ্গীপাড়ার আলি হামিদ করেছে ৫ লক্ষ টাকা,
সদর উপজেলার নগর মহম্মদপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ করেছে ৫ লক্ষ টাকা, শহরের দাদাপুর সড়কের আনিচুর রহমান
তার প্রতারণার শিকার হয়ে ১০ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতি মামলা করেছে।
এছাড়াও যদুবয়রা এলাকার কুমর সম্প্রদায়ের নামে বে-নামে অনেক গ্রাহকের ভুল বঝিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানাগেছে।
এ সকল বিষয়ে কুষ্টিয়া কোর্টে মামলা গুলো চলমান রয়েছে।
ভুক্তভ’গি ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বড় বড় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকের লেনদেন দেখে প্রথমে তাকে সিসি লোন অথবা ব্যাংক লোনের নাম করে
প্রথমে চেক হাতিয়ে নেয় পরে কৌশলে বড় অংকের লোন করে সেই চেক দিয়ে টাকা তুলে নেন, এই ছিলো তার প্রতারণার মূল কৌশল।
পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতির ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী
এভাবে লাখ লাখ টাকা লোন নিয়ে প্রতারণার দায়ে তকে সাসপেন্ড করেছিল ব্যাংক কর্তপক্ষ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভ’গি মিজানুর রহমান জানান, তাকে সিসি লোন করে দেওয়ার নামে প্রথমে একাধিক চেক নেয়,
পরে লোন করে তার নামে ব্যাংক থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। পরে টাকা চাইতে গেলে নানা ধরনের তালবাহনা করতে থাকে।
পরে প্রতারক ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন রায়হানের সাথে কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলা দেখা হলে টাকা চাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভুগি মিজান মডেল থানায় একটা সাধারন ডায়েরী করে। সেটা তদন্ত চলমান বলে জানাগেছে।
এভাবে সবার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করে এবং টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ধরনে হুমকি ধামকী দেওয়াসহ জীবন নাশের চেষ্টা করে।
শহরের দাদাপুর সড়কের আনিচুর রহমান জানান, তার লোন করার নাম করে চেক নেয় পরে ১০ লক্ষ টাকার লোন করে সব টাকা তুলে নেয় এবং
কুষ্টিয়ার অগ্রণী ব্যাংকের প্রতারণার পরে দেবে বলে ঘুরাতে থাকে উপায় না পেয়ে সেও কোর্টে চেক জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে জেলেদের উপর নিষেধাজ্ঞা
কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের আনসার সদস্য(কুমারখালী ব্যাংকের কর্মরত ছিল) শাহাজাহানের ছেলে জাহিদ জানান,
তাকে লোন করে দেবে বলে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেয় পরে প্রতারণার দায়ে ব্যাংক থেকে সাসপেন্ড করলে সে আর টাকাও দেয়না লোনও করে দেয় না।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তা সুমন রায়হানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে নিউজ করে লাভ নেই।
বড় বড় নেতা তার হাতের মুঠোয়। অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শাখার সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক ওয়াহিদুল ইসলাম জানান,
কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে ভুক্তভ’গিদের দাবী অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে প্রতরণার শিকার গ্রহকের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবী জানিয়েছে কর্তৃপক্ষের নিকট।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলাপ্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দূদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভ’গিরা।
Pingback: যশোরে ইপাসপোর্ট প্রিন্টিং চালু, সেবা পাবে ১০ জেলার মানুষ - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: র্যাব ১৩ রংপুর গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার - দ্যা বাংলা ওয়াল