লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
নির্বাচনে কারচুপি ও ফলাফল ঘোষণায় কৌশল অবলম্বনের অভিযোগ করে পুনঃরায় নির্বাচনের দাবিতে বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন
লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের আনারস মার্কা প্রতীক পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মঞ্জুরুল কবির ।
একই দাবিতে তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। তৃতীয় দফায় গত রবিবার ওই ইউপির নির্বাচন হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের স্থানীয় একটি পত্রিকায় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুর কবির বলেন,
‘গত রবিবার নির্বাচনে আমার আনারস প্রতীকে জনগণ বিপুল ভোট প্রয়োগ করেন, কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি করা হয়।
সুপরিকল্পিতভাবে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধভাবে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আমার ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২১৭৫৪ ভোটার তার মধ্যে ১২ হাজার ছয় শত ৫৪ ভোট দেয় ভোটাররা, অবৈধ বাতিল ভোট দেখানো হয়েছে ৩ শত ১৩ ভোট।
কিন্তুু নৌকার প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের নিজ বাড়ির সামনের কেন্দ্র ৭ নং ওয়ার্ডে সাইচা আলামিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
আনারস প্রতীকের সকল এজেন্টদের মারধর করে তার কর্মীবাহিনী দিয়ে সকালে বের করে দিয়ে এককভাবে নিজেদের ইচ্ছা মত নৌকায় সিল মারে।
প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয় নাই।
ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা পাস : যুগান্তকারী পদক্ষেপ
এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪১৫ ভোটার, এর মধ্যে বৈধ ভোট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৯ শত ভোট, নৌকায় ভোট দেখানো হয়েছে ১৭৮৪,
আনারস ৪৯, বাতিল ভোট ৬৭ মোট :১৯০০ ভোট দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুরুল কবির আরও বলেন, দুঃখ জনক ঘটনা হলো, ভোট চুরির একটা সীমা থাকা উচিত তা হলো পুরুষ,
মেম্বার ভোট পায় ১১১৩ ভোট,আবার বাতিল দেখানো হয়েছে ৭৮৭ ভোট,এখানে যোগফল হচ্ছে ১১১৩+৭৮৭=১৯০০ ভোট দেখানো হয়েছে।
চেয়াম্যানের তালিকা দেখানো বাতিলকৃত ভোট দেখা হয়েছে ৬৭ ভোট, পুরুষ মেম্বারদের তালিকা বাতিলকৃত ভোট দেখানো হয়েছে ৭৮৭ ভোট
তাহলে মহিলা সংরক্ষিত ভোটারদের হিসাব কোথায়। দুই জায়গায় ভোটারের হিসাব গড়মিল দেখা যাচ্ছে
পুরা ইউনিয়ন বাতিল ভোট দেখানো হয়েছে ৩১৩ ভোট, ঐ কেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান। চেয়ারম্যান,
মেম্বারদের তালিকায় বাতিলকৃত ভোট দেখানো হয়েছে ৭৮৪ ভোট। ভিন্ন, ভিন্নভাবে দুই জায়গায় হিসাব অনেক গরমিল দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও পাঁচটি কেন্দ্রে আমার কর্মীদের বিভিন্ন মারধর, নির্যাতনসহ এজেন্টদের বের করে গনহারে জাল ভোট প্রদান করে।
লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ছিনতাইয়ের ৬ নং ওয়ার্ড কেন্দ্র নির্বাচনী এজেন্ট রিয়াজকে নৌকার প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন,নিজেই মারধর করে,, ৩, ৯,ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর মুদি,
আবুল কাশেমকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা নৌকা সিল মেরে আমাকে পরাজিত করে
নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন কে ৭৮৪ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করা হয়।
আমি ৭ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্র পূণঃরায় নির্বাচন এবং তদন্ত সাপেক্ষে ভোট পূনঃগননা করে, পূনঃ ভোট গ্রহন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি।