১৭ অক্টোবর থেকে তিন দিন ব্যপি লালন মেলা
১৭ অক্টোবর থেকে তিন দিন ব্যপি শুরু হতে যাচ্ছে লালন মেলা। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়
লালন একাডেমির আয়োজনে আগামী ১৭ অক্টোবর পহেলা কার্তিক থেকে তিনদিন ব্যাপী কুষ্টিয়ায় শুরু হচ্ছে লালন মেলা।
১৮৯০ সালের এ দিনে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে বাউল সম্রাট লালন শাহ দেহ ত্যাগ করেন।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও লালন একাডেমির পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি থাকবেন তা ঠিক করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম’কে।
অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যৌথ ভাবে পুলিশ এবং র্যাব-১২ কুষ্টিয়াকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালন একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এডহক কমিটির জৈষ্ঠ সদস্য মো: তাইজাল আলী খান।
তিনি বলেন, এবার আলোচনা সভা ও লালন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মাজার প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে বর্ণিল পরিবেশের সৃষ্টি করছে একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে ভক্ত-অনুসারীরা লালন আখড়ায় আসতে শুরু করবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
নওগাঁর আত্রাইয়ে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
লালন একাডেমির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য মো. সেলিম হক বলেন,
লালন শাহের তিরোধান দিবস উপলক্ষে তার সাধন-ভজনের তীর্থস্থান ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ এবার পরিণত হবে উৎসবের আমেজে।
দেশ-বিদেশ থেকে লালনভক্ত, বাউল অনুসারী ও সুধীজনসহ অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে এখানে। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, লালন তিরোধান দিবস ও গ্রামীণ মেলাকে কেন্দ্র করে মাজার প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের এলাকায়
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো মাজার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
১৭ অক্টোবর থেকে তিন দিন জেলা পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সেই সঙ্গে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।লালন মেলায় রাতভর চলে বাউল গানের উৎসব।
এই উপলক্ষে লালন মাজারকে সাজানো হয় নানা সাজে। প্রধান ফটক আর মূল মাজারে সাদা, লাল, নীল আলোকসজ্জা, বিশাল তোরণ নির্মাণ ও
মাজারের বাইরে কালী নদীর ভরাটকৃত জায়গায় স্থাপিত লালন মঞ্চের সামনে বিশাল ছামিয়ানা টাঙানো হয়।
আলোচনা মঞ্চের চারপাশ লালন মাজারের প্রধান রাস্তাজুড়ে বসে গ্রামীণমেলা। মেলায় নানা রকম গৃহসামগ্রী, কাঠের তৈরি সাংসারিক নানা জিনিসপত্র,
গরম জিলাপি, পাঁপড় ভাজা, লালনের গানের সিডি, গেঞ্জি, শন পাঁপড়ি, আখের শরবত, হোটেল, খই-বাতাসাসহ হরেক রকম পসরা বসে।
পাবনা আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে যেতে চাইলে বাস বা ট্রেনে দু’ভাবেই যাওয়া যায়। বাসে গেলে কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিউ এসবি সুপার ডিলাস্ক, শ্যামলী, হানিফ বাসে
কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট এ নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে যে কোনো রিকশা/অটো নিয়ে লালন মাজারে যাওয়া যায়।
বাসের ভাড়া নন এসি ৪৫০-৫০০ টাকা, এসি ৬০০-৬৫০ টাকা।
ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস অথবা চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকালে ও চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যায় কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
ট্রেনে গেলে আপনাকে পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে নামতে হবে।
ভেড়ামারা বা পোড়াদহ থেকে বাস বা সিএনজি তে করে কুষ্টিয়া শহরে এসে রিকশা অথবা অটো যেতে পারেন উৎসবে।
নড়াইলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
থাকার ব্যবস্থা
মজমপুর গেট, শাপলা চত্বর, এন এস রোড, বড় বাজার এ বিভিন্ন হোটেল আছে।
এরমধ্যে হোটেল আজমীরি, প্রীতম হোটেল (মজমপুর গেট), নূর ইন্টারন্যাশনাল, বড়বাজারের জুবলি হোটেল, হোটেল লিবার্টি অন্যতম।
এছাড়া থাকার জন্যে শহরেই মানসম্মত অনেক হোটেল পাবেন। এরমধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড স্টার, সানমুন অন্যতম।
কোথায় খাবেন
খাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। তার মধ্যে জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল, শফি হোটেল, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, মৌবন রেস্টুরেন্টসহ ৩টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাবেন।
এন.এস. রোডের মৌবন মাসালা তে আলু পরাটা খেতে পারেন, দাম ৭০ টাকা।
একই রোডের শিশির বেকারিতে ভালো নাস্তা পাওয়া যায়। চৌড়হাস মোড়ে রান্নাঘর হোটেলও ভাল।
মজমপুরের জাহাঙ্গীর হোটেল। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আছে বড় বাজারের গান্ধী হোটেল, মৌবন। শেষ কথা, লালন কুলফি খেতে ভুলবেন না!

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: নওগাঁয় প্রভাবশালীর প্রভাবে ৩০টি পরিবার পানি বন্দি - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: নওগাঁ’র নৃত্যশিল্পীদের ক্রেষ্ট প্রদান ও নৃত্যানুষ্ঠান - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: নড়াইলে “বিশ্ব ডিম দিবস-২০২২” পালিত - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে ওয়েবিনার আয়োজিত - দ্যা বাংলা ওয়াল