নড়াইলে নির্মান হলো বিমল-সূর্য সংগ্রহশালা
নড়াইলে লোকায়ত শিল্পকলাকে সংরক্ষণে নড়াইলে এই প্রথম গড়ে উঠলো বিমল-সূর্য স্মৃতি সংগ্রহশালা।
লোকায়ত শিল্পকলাকে সংরক্ষণে নড়াইলে এই প্রথম গড়ে উঠলো বিমল-সূর্য স্মৃতি সংগ্রহশালা।
নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পট শিল্পী নিখিল চন্দ্র দাস তার বাবা-মায়ের নামে গড়ে তুলছেন এই স্মৃতি সংগ্রহশালা।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) নড়াইল শহরের আলাদাতপুর কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ এলাকায় শিল্পীর নিজ বাড়িতে গড়ে তোলা বিমল-সূর্য স্মৃতি সংগ্রহশালা
র দ্বারোদঘাটন করেন ভারত থেকে আগত লোকসংস্কৃতি গবেষক ড. চিত্তরঞ্জন মাইতি।
বিমল-সূর্য সংগ্রহশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের শিষ্য চিত্রশিল্পী নিখিল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের
অধ্যক্ষ শাহনারা বেগম, জেলা কালচারাল কর্মকর্তা হায়দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ এস,এ, মতিন,
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, জারি শিল্পী অধ্যক্ষ রওশন আলী, এস,এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের
সভাপতি শেখ হানিফ, সংগ্রহশালার আহবায়ক গীতা রাণী দাস, এস,এম, সুলতান সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মূর্খার্জী,
সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব , সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁয় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
চিত্রশিল্পী নিখিল চন্দ্র দাস জানান, বাবা বিমল চন্দ্র দাস ও মা সূর্য রাণী দাস-এর নামে এ স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া এই লোক শিল্পকে সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের সাথে লোকায়ত এই শিল্পের পরিচয় করিয়ে দিতে আমার এই উদ্যোগ।
তিনি জানান, এই সংগ্রহশালায় পাঁচ শতাধিক পটচিত্র পেইন্টিং, ১ হাজারের বেশী লোকগান, পুরোনো মৃৎপাত্র, বিভিন্ন ধরনের নৌকা,
হাড়ি, কলসি, জাল, আল্পনা, নকশি কাঁথা, মনষা ঘট, লোক পুতুল ইত্যাদি।
নওগাঁ জেলায় ক্রমাগত সরিষা চাষের পরিমাণ বাড়ছে
তিনি আরো জানান ,প্রথম অবস্থায় আমার নিজ বাড়িতে এ সংগ্রহশালা করা হলেও, এই সংগ্রহশালার জন্য জমি কেনা আছে,
সেখানে পরবর্তিতে স্থায়ীভাবে লোকায়ত শিল্পকলা সংরক্ষণে বিমল-সূর্য স্মৃতি সংগ্রহ শালা তৈরী করা হবে।
সংগ্রহশালার উদ্বোধক ড. চিত্তরঞ্জন মাইতি ভোরের কাগজকে বলেন, আমার ইচ্ছা নড়াইলে আর্ন্তজাতিক মানের পটচিত্র গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা।
এখানে একটি মিউজিয়াম গড়ে উঠলে বিদেশীরা এখানে আসবে, তারা পটচিত্র কিনবে এবং এর সাথে পরিচিত হবে।
ফলে পটচিত্র শিল্পী ও পটের গানের শিল্পীদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে।