সংগঠক রউফ ঠিকাদারের ৪৭তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ
৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রউফ ঠিকাদারের ৪৭তম মৃত্যু বার্ষিকী।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সকাল সাড়ে ১০ টায় পাবনা শহরের নতুন গলির মোমেনা হোসিয়ারীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীয় চারনেতার জেল হত্যার খবর শোনার পরেই তার এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তিনি ১৯৩১ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি পাবনার বলরামপুর (আরিফপুর পূর্বপাড়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এশারত আলী ও মাতা পরিজান নেছা।
তিনি তৎকালীন পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসায়ে মনোযোগী হন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের তৎকালীন বৃহত্তর পাবনা জেলার প্রথম সারির কর্মীদের মধ্যে তিনিও একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
নড়াইলে ২দিন ব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা ‘২২ উদ্বোধন
আব্দুর রউফ ১৯৬৭ সালে পাবনার ঐতিহাসিক ভুট্টা আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তৎকালীন সময়ে ক্যাপ্টেন জায়েদীর নির্দেশে এই ভুট্টা আন্দোলনরত নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে আব্দুর রউফও গ্রেফতার হন এবং কারা ভোগ করেন।
পরবর্তীতে ১৯৬৯-১৯৭০ সালের আন্দোলনের পথ ধরে আব্দুর রউফ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যান এবং
মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
নড়াইলে বিদেশগামী কর্মীদের ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠিত
প্রসঙ্গত এর আগে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পরে পাবনার আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তৎকালীন জেলা প্রসাশক নুরুল কাদের
কয়েক দফা বৈঠক করে অস্ত্রাগার খুলে দেন। শেখ আব্দুর রউফও উক্ত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ।
৩ নভেম্বর আব্দুর রউফ তিনি ৭২ এর সংবিধান গণ স্বাক্ষর এ অংশ নেন। এছাড়াও স্বাধীন গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধিনে
বিধ্বস্ত দেশ পুনরায় গঠনের কাজেও অংশ গ্রহণ করেন।
তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সুনামের সহিত পাবনায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী হিসেবে অতি সু পরিচিতি ব্যাক্তি ছিলেন।
আমার বাবার নিউজটা প্রকাশ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।