ইলিশ পাঠানোর আগেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত
ভারতে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর কিম্বা রফতানির আগেই কোন ঘোষনা ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষনা করলো ভারত।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে বেনাপোলের ওপারের পেট্রাপোলে আটকা পড়ে পেঁয়াজ ভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক।
বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেল বাংলাদেশের ইলিশের প্রথম চালান
একই অবস্থা অন্যান্য স্থলবন্দরেও। ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সোমবার কিছু নীতিগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করা উচিত।
সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে কোন পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালের দিকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশের পরপরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে
পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকদের সংগঠন।
বিকেলের দিকে দুই ট্রাক পদ্মার ইলিশ ভারতে রফতানি করলেও পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানিতে তাদের মন গলেনি।
বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল রফতানিকারক সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ি কার্তিক ঘোষ বলেন,
পেঁয়াজ রফতানিকারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭শ ৫০ মার্কিন ডলারের নীচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে না।
৫ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ কাজ করছে ১৫ বছর
সে কারনে অনেকগুলো পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক বর্ডারে দাঁড়িয়ে আছে।
বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য শুরুর
পর থেকে ২শ ৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে।
ভারতের নাসিকে বন্যার কারনে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে
৭শ ৫০ ডলারের নীচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু
এ কারনে তাঁরা পেঁয়াজের রফতানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতের বনগাঁ এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ি অনিল মজুমদার টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে তাদের আপত্তি নেই।
বাজার দরে এলসি পেলে তাঁরা পূনরায় রফতানি শুরু করবে।
সে ক্ষেত্রে পুরানো যে সব এলসি দেয়া আছে সে গুলো ২শ ৫০ মার্কিন ডলার সংশোধন করে সংশোধিত মুল্যে এবং
নতুন এলসি ৭শ ৫০ মার্কিন ডলার করা হলে পেঁয়াজের আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত কোন ঘোষনা ছাড়াই মুল্য বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।
পারস্পারিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই। তাঁরা রফতানি বন্ধ না করে পেঁয়াজের আমাদানিকারকদেরকে সময় বেঁধে দিতে পারতেন।
ইলিশ পাঠানোর আগেই হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তটা নেয়া ঠিক হয়নি।
এদিকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের খবরে নড়ে চড়ে বসেছে বেনাপোলসহ বিভিন্ন স্থানের পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়িরা।
সন্ধ্যার আগেই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
Pingback: শ্রীপুর পৌরসভার বংশী ঘাটা লবলং খালে বাঁশই ভরসা - দ্যা বাংলা ওয়াল