বেনাপোলে ৫ তলা ভবন হেলে অন্য ভবনে ঠাঁই
বেনাপোলে ৫ তলা ভবন হেলে অন্য ভবনে ঠাঁই : ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
যশোরের বেনাপোল পৌরসভার কাস্টমস হাউজের বিপরীতে পৌরসভার নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মান না করায় পাঁচ তলা একটি ভবন হেলে গিয়ে
চার তলা অন্য একটি ভবন ঘেষে দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে

আশঙ্কা করছে ভবনে বসবাসকারীসহ আশেপাশের লোকজন। বিষয়টি ১০ মাস আগে বেনাপোল পৌর সভাকে অবহিত করা হলেও
এখনো পৌরসভা থেকে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
হেলে যাওয়া বিল্ডিং এর পাশের বিল্ডিং রবি চেম্বার এর মালিকের পুত্র শরিফুল ইসলাম নয়ন বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের পাশে
বেনাপোলের ছোটআঁচড়া গ্রামের ইজাজুল হক ইজাজ একটি পাঁচ তলা ভবন নির্মান করেন।
সেই ভবনের পাশে আমার একটি চার তলা ভবন রয়েছে।
গত বছর আম্ফান ঝঁড়ে ইজাজের ভবনটি হেলে গিয়ে আমার চার তলা ভবনে লেগে আছে।
৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নড়াইলে
যে কোন সময় ভূমিকম্প বা অন্য কোন দুর্ঘটনায় দুই ভবনসহ পাশের কয়েকটি ছোট খাট ভবনের কয়েকশ‘ লোক ঝুঁকিতে থাকবে।
এছাড়াও ভবনটির দক্ষিণ পাশের্^ ৪২ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্ত বিশিস্ট রাস্তা ব্যবহারের কথা পৌরসভার নকশা অনুমোদন করলেও
ইজাজ পৌরসভার আইন ভঙ্গ করে রাস্তার জন্য ১০ ফিটের স্থলে ৭ ফিট জায়গা রেখে
বাকী ৩ ফিট জায়গা নিজ দখলে নিয়ে এবং ভবনটির কোন পাশে জায়গা না ছেড়েই ভবন নির্মাণ করেন।
তিন বলেন, বেনাপোলে ৫ তলা ভবন এ বিষয়টি গত ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেস্বর লিখিত ভাবে বেনাপোল পৌরসভাকে
অবহিত করা হলেও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিক ইজাজুল হক বলেন, আমার বিল্ডিং নির্মানের সময় উপরের দিক যেতে যেতে ওই বিল্ডিংয়ের সাথে কিছুটা মিশে গেছে।
আমি কিছু অংশ কেটে ফাঁকা করেছি বাকিটুকু কাটা হবে। এতে তেমন কোন ঝুঁকি নেই।
শার্শায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন
এছাড়া আমি চারিপাশে আবারও গ্রেড ভিম দিব যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
বেনাপোল পৌরসভার সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান বলেন, এ নিয়ে রবি চেম্বার থেকে একটি আবেদন দিয়েছে।
বেনাপোলে ৫ তলা ভবন তবে তেমন কোন অসুবিধা নেই। তারপরও আমাদের প্রকৌশলী সাহেব বিষয়টি দেখছেন।
এ ব্যাপারে পৌর প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখেছি। কিছুটা ভবন নির্মানের সময় টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে।
পৌর সভা থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে পৌর কর্তৃপক্ষ কোন দায়ভার নিবে না।
সকল প্রকার দায়ভার ভবনের মালিক ইজাজকেই নিতে হবে।
এ দিকে স্থানীয় মাহবুব হোসেন বলেন, এ ভবন গুলো যেখানে নির্মাণ হয়েছে সেখানে খানা গর্ত ছিলো।
নিচে মাটি ভরাট করে পাইলিং না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় ভবনটি ধসে যেতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি বিক্রি করার চেস্টা করছে ইজাজ।
কাস্টমারও ঠিক হয়েছিল। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনে তারা কিনতে রাজি হয়নি।
ভবনের আশেপাশের অনেকে বলেন, এভাবে একটি ভবন আরেকটি ভবনের গায়ে হেলে পড়া মানে ভবন নির্মাণে ক্রুটিপূর্ণ।
এমন অবস্থায় হেলে যাওয়া ভবনটির ব্যাপারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে
যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: কালিগঞ্জে উপড়ে পড়া গাছের সাথে রাস্তার গাছ কেটে নিল - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: আইপিটিভি নিয়ে অপপ্রচার : বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান - দ্যা বাংলা ওয়াল