শার্শায় রুগ্ন গরুর মাংস বিক্রির সময় হাতে-নাতে ধরা
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারে রুগ্ন গরুর মাংস বিক্রির সময় মাংস ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে হাতে-নাতে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে খাদ্যের অনুপযোগী জব্দকৃত মাংস তাৎক্ষনিক কেরাসিন ঢেলে নষ্ট করার পর মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। মাংস ব্যবসায়ী সোহেল রানা শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নাভারণ বাজারের মাংস পট্রিতে সোহেল রানার মাংসের দোকানে রুগ্ন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন, ইউপি সদস্য জুলফিকর আলী জুলু ও গ্রাম পুলিশ তোবারক হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সোহেল রানার মাংসের দোকানে রুগ্ন গরুর মাংস বিক্রির প্রমাণ পেয়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে ওজন স্কেলসহ দোকানের সমস্ত মাংস জব্দ করে এবং খাদ্যের অনুপযোগী মাংস বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জব্দকৃত মাংস কেরাসিন ঢেলে নষ্ট করার পর ইউপি চত্বরের পরিত্যক্ত মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
ইউপি সদস্য জুলফিকর আলী জুলু জানান, নাভারণ বাজারের মাংস পট্রির সোহেল রানার মাংসের দোকানে রুগ্ন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলকে জানালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জব্দকৃত মাংস তাৎক্ষনিক কেরাসিন ঢেলে নষ্ট করা হয়েছে। দোকানদারকে জরিমানা করা হয়েছে।
বিষয়টি উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শেফালি খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন বা জুলু মেম্বার আমাকে কিছুই জানায়নি।
/মোজাহো