ঈশ্বরদীতে রাশিয়ানদের ব্যবহৃত বাড়ি লকডাউন
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ঈশ্বরদীর নারিচা এলাকায় রাশিয়ানদের ভাড়াকৃত ‘হাউস-২’ নামের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত এক রাশিয়ান নাগরিককে বুধবার (২৫ মার্চ) রাত ১০টার পর ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই বাড়িতে প্রকল্পে র্কমরত ১৫ থেকে ১৬ জন বিদেশি নাগরিক বসবাস করছে বলে জানা গেছে। বাড়িটির গেট রাতেই তালাবদ্ধ করে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাতেই লকডাউন নিশ্চিত করেন। ঈশ্বরদী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘অর্গানস্ত্রয়’-এ কর্মরত বেলার শিয়ান নাগরিক চুপ্রিম ভিচেশ্লাভ (৩৭) করোনা পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতে ঢাকায় গিয়েছেন। তার গলা ব্যথা, কাশি ও কিছু লক্ষণ ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা. সের্গেই মারজভসও রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আগে তার গলায় একটি অপারেশন হয়েছিল। এ কারণেও গলা ব্যথা হতে পারে।
ঈশ্বরদীতে করোনা পরীক্ষার কোন কিট না থাকায় বাইরে না বের হয়ে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, এই বিদেশির বিষয়ে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ কথা বলা হয়েছিল। ঈশ্বরদী এসে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার কথা। কিন্তু সে সময় না দিয়ে রাতেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় গিয়েছেন রাশিয়ান নাগরিক চুপ্রিম ভিচেশ্লাভ। তাই রাতেই ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এই রাশিয়ান নাগরিক সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঈশ্বরদীতে আসেন। দেশে যাওয়ার জন্য তিনি কয়েকদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বিমান যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় তিনি কয়েকদিন ঢাকায় থেকে ফিরে আসেন। গলা ব্যথা ও কাশি ছাড়াও আর কোনো উপসর্গ ছিল কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি।
চুপ্রিম ভিচেশ্লাভ ফোনে চিকিৎসকদের বারবার তাকে সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বললেও পিপিই না থাকায় চিকিৎসকরা কাছে যেতে পারেননি। এসব কারণে স্থানীয়ভাবে সুচিকিৎসা না পাওয়ার আশংকায় দেরী না করে রাতই ঢাকায় রওনা হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান নারিচার এলাকার ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ওই বাড়িতে বসবাসরত অন্যান্য বিদেশীদেরও রূপপুর প্রকল্পে কাজে যেতে নিষেধ এবং প্রকল্পে প্রবেশের সিকিউরিটি পাশ বøক করা হয়েছে।
/ শেতার