ভারত মহাসাগরে টেকটনিক প্লেট দুই টুকরো, ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা
পৃথিবীর পৃষ্ঠে বেশ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেট রয়েছে। টেকটোনিক প্লেটগুলি পৃথিবীর ভূত্বকের টুকরা এবং উপরের আস্তরণের অংশকে একসাথে লিথোস্ফিয়ার হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
প্লেটগুলি প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) পুরু এবং দুটি মূল ধরণের উপাদান নিয়ে গঠিত: সমুদ্রের ক্রাস্ট (সিলিকন এবং ম্যাগনেসিয়াম থেকে সিমাকেও বলা হয়) এবং মহাদেশীয় ক্রাস্ট (সিলিকন এবং অ্যালুমিনিয়াম থেকে সিয়াল)। দুটি ধরণের ক্রাস্টের সংমিশ্রণটি স্পষ্টভাবে পৃথক, ম্যাকিক বেসালটিক শিলা সমুদ্রীয় ভূত্বককে প্রাধান্য দেয়, যখন মহাদেশীয় ভূত্বকটি মূলত নিম্ন-ঘনত্বের ফেলসিক গ্রানাইটিক শিলাগুলির সমন্বয়ে গঠিত।
ভারত মহাসাগরের বিশাল টেকটনিক প্লেট ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে। এতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এই দুটি প্লেটের দূরে সরে যাওয়ার গতি খুবই কম। এই গতিতে চলতে থাকলে এক মাইল দূর যেতে দুটি প্লেটের ১০ লাখ বছর সময় লাগার কথা।
কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটাই ঘটছে পানির নিচে। ফলে ঠিক কী কী পরিবর্তন চলছে তা সবসময় নজরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুটি প্লেটের আলাদা হয়ে যাওয়ার গতি কম হলেও বিজ্ঞানীরা চিন্তায় রয়েছেন। কারণ এভাবে প্লেট সরে যাওয়াই ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। তবে ভবিষ্যতে যে বড়সড় কোনও ভূমিকম্প হবে তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না বিজ্ঞানীরা।
ভারত মহাসাগরে টেকটনিক প্লেট দুই টুকরো। ছবি: সংগৃহীত
গবেষক অরলি কৌদুরিয়ার কার্ভুর বলেন, ‘অন্য গ্রহের বাউন্ডারির তুলনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে। সবটাই ঘটছে পানির নিচে। পানির নিচে এত গভীরে সব পরিবর্তন ঘটছে। তাই সব সময় সব পরিবর্তন আমাদের নজরে পড়ছে না। তবে দুটি প্লেট ভেঙে দুই টুকরো হয়েছে। আর সেগুলি ক্রমশ পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।’
বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে জানিয়েছে, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মকরাঞ্চলের ঐ প্লেট প্রত্যেক বছর ০.০৬ মিলিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে।
আট বছর আগে একবার ভারত মহাসাগরের নিচে ভূমিকম্প হয়েছিল। তারপর থেকেই ঐ প্লেটের এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা।