ইরান-আমেরিকা যুদ্ধ পরিস্থিতি, একধাক্কায় ৪ শতাংশ বাড়ল তেলের দাম
তেহরান: তেলের ভাণ্ডারেই যুদ্ধের মেঘ। আর তার জেরেই বাড়তে শুরু করল তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে একধাক্কায় ৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েচে তেলের দাম।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশে ইরাকের উপর এয়ারস্ট্রাইক হওয়ার পরই তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ব্যারেল প্রতি ৭০ টাকা।
ইরানের সেনাপ্রধান কাশেম সোলেমানিকে হত্যা করেছে মার্কিন সেনা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন সেনার রকেট হামলায় মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যেই ছিলেন কাশেম সোলেমানি।
কোনও তেলের কারখানায় আঘাত করা হয়নি। তবে ইরানি জেনারেলকে হত্যার প্রভাবে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তৈরি হয়েছে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি। উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট হায়োতোল্লা আল খামেইনি।
কাশেম ইরানের কুদ গার্ডের শীর্ষে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন সরাসরি আয়াতুল্লা খোমেইনির অধীনে। দেশবাসীর চোখে তিনি ছিলেন একজন হিরো। এই হামলার ফলে ফের মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত হবে এমনটাই আশঙ্কা।
একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের ডেপুটি কম্যান্ডার আবু নাহদি আল-মহান্দিজেরও।
নিউ ইয়ারের আগের রাতে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানি সেনা। বুধবার এই হামলা শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প ২৫০ মার্কিন সেনাকে সেখানে মোতায়েন করেছেন। শুক্রবারের এই ঘটনার পরই ট্রাম্প একটি মার্কিন পতাকার ছবি টুইট করেছেন।
রবিবার ইরাকের ২৫ জন ইরানের মদতপুষ্ট সেনাকে হত্যা করেছে মার্কিন সেনা। ইরাকের এর সেনা ঘাঁটিতে এক মার্কিন ঠিকাদারকে হ্ত্যার বদলা নিতেই এই হামলা।
ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহ. জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ওয়াশিংটন একটি ভয়ঙ্কর, কাণ্ডজ্ঞানহীন ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জবাব তারা পাবে।আমেরিকার হঠকারী হামলার যে কোনও পরিণতির দায় ওয়াশিংটনকে বহন করতে হবে।
বিবিসি জানাচ্ছে, ট্রাম্প সরকারের দাবি ইরাকে থাকা আমেরিকান দূতাবাস ঘিরে বিক্ষোভ ও হামলায় ইন্ধন দিয়েছে ইরান। পাশাপাশি, বাগদাদের ইরানি দূতাবাসের উপরে মার্কিন ব্ল্যাক হক ঘুরতে থাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানাচ্ছে, দেশের সর্বচ্চো নেতা তথা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই আমেরিকাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে তেহরান।