শার্শায় শিক্ষা সফরের বাস দুর্ঘটনায় চালক নিহত: শিক্ষার্থীসহ আহত ২০
যশোরের শার্শায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক নিহত হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছে ২০ জন।

বুধবার সকাল ৮ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শার্শার হাড়িখালি নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানান চিকিৎসকরা। ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের ওসি।

মৃত চালকের নাম দবির উদ্দিন (৫৫)। তার বাড়ি যশোরের পুলেরহাট। আহতরা হলো, তৃপ্তি (২৪), আখি (১৫). শহিদুল (৪৮), নবীর হোসেন (২৯), খাদিজা (১৬), ইভা (১৫), ফাতেমা (২৮), মেহের আলী (৩৭), জরিনা (৪৫), বনি আমিন (৩৫), সাব্দার (৭০), রোজিনা (২০)। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সাতক্ষীরা কলারোয়ার বুঝতলা বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকরা গ্রীন বাংলা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-০৪৯৪) বাসে করে নাটোর রাজবাড়ি শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন। শার্শার হাড়িখালি নামক স্থানে পৌছালে এসময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী লিজা আকাশ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাসের (রাজশাহী মেট্রো জ-১১-০০৫৮) সাথে ওই পরিবহনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে লিজা আকাশ পরিবহনের চালক দবির মারাত্মক ভাবে আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয় শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ ২০ জনের মত। গ্রীণ বাংলা পরিবহনের চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে থাকে। দূর্ঘনার পরপরই সংবাদ পেয়ে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ, শার্শা থানা, বাগআঁচড়া আইসি ক্যাম্প পুলিশ ও বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করায়। স্থানীয় ইট ভাটার এক্সকাভেটর মেশিনের সাহায্যে দেড় ঘন্টা চেষ্টা করার দূর্ঘনাকবলিত দুইটি বাস উদ্ধার করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল দূর্ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

যশোরের নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের ওসি জহির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

/ মোজাহো