মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা: আহত-১
মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় সাইদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর উপর হামলা করতে গিয়ে মাদকসেবীর রামদার আঘাতে আহত হয়েছে তার বোন শীলা খাতুন (৩২ )। মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজ গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শীলা খাতুনের মাথায় কোপ মারে মাদকসেবী সন্ত্রাসী শহিদুল (৩০)। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে শার্শা উপজেলা (নাভারন) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শীলা খাতুন বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজগ্রাম গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী। হামলাকারী মাদকসেবী সন্ত্রাসী শহিদুল একই থানার ধান্যখোলা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে ও নামাজগ্রামে ঘর জামাই থাকে।
স্থানীয় গ্রামের সংবাদ ও পল্লী টিভির সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম জানান, শহিদুল নামের এক মাদক সেবনকারী ও সন্ত্রাসী প্রায় দিন পোর্ট থানার নামাজগ্রামে তার বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত স্থানে অন্যান্য যুবকদের নিয়ে মাদক সেবনের আড্ডা বসায়। এতে করে ওই এলাকার যুবক শ্রেনীর অনেকেই মাদকাসক্তে আশক্ত হতে দেখে সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম বার বার সন্ত্রাসী শহিদুলকে সতর্ক করে দেন।
এ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটিও হয়। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে সন্ত্রাসী শহিদুল অস্ত্র ও রামদা নিয়ে সাংবাদিক সাইদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে রামদা দিয়ে আঘাত করতে গেলে সাইদুল দৌড়ে ঘরের মধ্যে পালিয়ে যায়। এ সময় কোমর থেকে অস্ত্র বের করে গুলি করতে উদ্যোত হয়। ভাইকে বাঁচাতে বোন শীলা খাতুন এগিয়ে এলে মাদকসেবী সন্ত্রাসী শহিদুল রামদা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী শহিদুল পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা শীলাকে শার্শা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এলাকার লোকজন জানান, মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী শহিদুল প্রায় সময় ভারতে থাকে এবং সেখান থেকে সে মাদক এবং অস্ত্র এনে দেশের অভ্যন্তরে কেনা বেচা করে থাকে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসামী আটকে অভিযান চলছে।
/ মোজাহো