ভারত ফেরত পাঁচসহ ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে আট : নিয়ম মানতে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় আট জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ভারত থেকে ফেরা পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও গত ২৫ দিনে যশোর জেলায় মোট দুই হাজার ৪৫৪ জনকে হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৯৭৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ২৪ জনের রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ জনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে সরকারি আইন, নিয়ম-নীতি জনসাধারণকে মানতে আরও কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। এনিয়ে শনিবারও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, যশোরের আট উপজেলার মধ্যে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারত ফেরতসহ জেলা আটজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে অভয়নগরে ১ জন, কেশবপুর উপজেলায় ২জনকে এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভারত থেকে ফেরা পাঁচজন বাংলাদেশিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন আরও বলেন, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারি শনিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ভারত থেকে ৩৫জন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী দেশে প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে। এ জন ওই পাঁচজনকে বাড়িতে না পাঠিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, ভারত থেকে আসা পাঁচজন যাত্রীকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তাদের শরীরের রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শনিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়সল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিয়ামুল হালিম খান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, প্রথমদিকে মানুষ ঘরে থাকলে বর্তমানে শহরে ও গ্রামে ঢিলেঢালাভাবে আড্ডা ও চলাচল করছেন। সে জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মানুষকে ঘরে ফেরাতে চাপ সৃষ্টিসহ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
/ মোজাহো