নবীগঞ্জে ঢুকছেন ঝুঁকিপূর্ণ তিন জেলার শ্রমজীবীরা
লকডাউন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে শ্রমজীবী মানুষের নবীগঞ্জে আসা থেমে নেই। প্রতিদিনই এ তিন জেলা থেকে খোলা ট্রাকে করে নবীগঞ্জে আসছে মানুষ। তারা এলাকায় অবাধে চলাফেরা করছেন। এতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি।
নবীগঞ্জের ভাটি এলাকায়, বিশেষ করে বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের জগন্নাথপুর, চৌকি ও ফতেপুর; বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ফার্ম বাজার, কাজীর বাজার ও শঙ্করপুর; পানিউন্দা ইউনিয়নের পানিউন্দা ও মোকাম বাজার; ইমামবাড়ী ইউনিয়নের খইরা ও রমজানপুর, করগাঁও ইউনিয়নের দুর্গাপুর ও শেরপুর এবং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর, বেতাপুর গ্রামের অনেক দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখন তাদের কর্ম এলাকাগুলোয় চলছে লকডাউন। কর্মহীন হয়ে তারা ফিরছেন বাড়িতে।
সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের মনসুর আহমেদ জানান, গত কয়েকদিনে কয়েকশ মানুষ ওই এলাকা দিয়ে বানিয়াচংয়ে ঢুকেছে। শুধু তার নিজ গ্রামেই অন্তত ২০ জন এসেছেন। তিনি জানান, বাইরে থেকে এসে তারা অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। তাদের বোঝালেও শুনছেন না। প্রশাসনের লোকজন এলে তারা ঘরে ঢুকে যান। চলে যাওয়ার পর যেই-সেই। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে এমন পরিস্থিতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
বড় ভাকৈর (পশ্চিম) হলিমপুর গ্রামের শিক্ষাবিদ সনজিৎ নারায়ণ চৌধুরী জানান, কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা, জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার অসংখ্য লোককে তিনি মিনিট্রাক ও সিএনজিযোগে যেতে দেখেছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কমিটি রয়েছে। তাদের বিষয়টি তদারক করার কথা। কিন্তু কমিটির সদস্যরা ঠিকমতো কাজ করছেন না। এত বড় উপজেলা অল্পসংখ্যক পুলিশ দিয়ে সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পুলিশ দেখবে।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, প্রতিটি এলাকার কমিটির মাধ্যমে অন্য জেলাফেরত লোকদের ১৪ থেকে ২০ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু হতে পারে। সেটি অনুধাবন করতে হবে মানুষকে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
/ মোসেউ