ফকা নাসিরের ত্রাণে চেয়ারম্যান উপস্থিত না হওয়ায় বেনাপোলের পুটখালিতে চেয়ারম্যান লাঞ্চিত
ফকা নাসিরের ত্রাণ কাজে কেন চেয়ারম্যান যায়নি এ নিয়ে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার হাদিউজ্জামানের উপর হামলা চালিয়েছে ফকা নাসির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান লাঞ্চিত ও আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যানকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় এলাকার লোকজন সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পুটখালি গ্রামের গরুর খাটাল দখলে আনতে চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চায় ফক্কু নাসির। চেয়ারম্যান তাতে রাজি না হওয়ায় বুধবার বিকেলে ফকা নাসির বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে প্রাইভেট কারে করে পুটখালি বাজারে আসে। এ সময় চেয়ারম্যান ক্রাণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। চেয়ারম্যান তাকে সালাম দিলে ফকা নাসির তার সাথে দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করে। তাদের ত্রাণে কেন চেয়ারম্যান যায়নি সেই কৈয়ফত চায়। চেয়ারম্যান ত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত ছিল বলার সাথে সাথে ফকা নাসিসের সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দেয় ও গালিগালাজ করতে থাকে। এ পর্যায়ে তার উপর হামলা চালানো হয়।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ফকা নাসির এ ঘটনার জন্য একই গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নাসিরের উপর দোষ চাপায়। ঘটনার সময় গরু ব্যবসায়ী নাসির সেখানে ছিলেন না। ঘটনাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করতে তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় মিথ্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটি গ্রহন না করে তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
গ্রামবাসীরা বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আহত, অপমানিত এবং লাঞ্চিত হবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সরাসরি এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ঘটনার সাথে জড়িত ফক্কু নাসিরসহ তার বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান জানান, আমি ত্রাণ কাজে পুটখালি বাজারে ব্যস্ত ছিলাম। ফকা নাসির তার বাহিনী নিয়ে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেয়। ঐ সময় গ্রামবাসীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গরু ব্যবসায়ী নাসির ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে গরু ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছেন আমি তাদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, চেয়ারম্যান নিজে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। #
/ মোজাহো