যশোরে চাঁদাবাজি মামলায় ৪ যুবককে জেলহাজতে প্রেরণ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়ার কথিত দুই সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে চার যুবককে আটক করেছে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ। শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আটক যুবকদের মধ্যে রয়েছে ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদ আলীর ছেলে গরুর দালাল বিল্লাল হোসেন (৩২), একই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এলাকায় নারী পাচারকারী হিসেবে পরিচিত আব্দুল জব্বার (৩৫), লিয়াকত আলীর ছেলে শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ও আনসার ভিডিপির সদস্য তারিফুল ইসলাম (২৮) ও যশোর সদর উপজেলার বীরনারায়ণপুর গ্রামের শামছুর রহমান নীরব (৩২)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আটক যুবকরা বেশ কয়েকদিন ধরে যশোরের মোল্যাপাড়ায় শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে হুমকি দিচ্ছিল। শহিদুলের বড় ভাই আব্দুল হাই সিদ্দিকী একজন রেজিস্ট্রার্ড কাজী। শনিবার দুপুরে প্রতারকরা শহিদুলের বাড়িতে আসে। তারা এ সময় নিজেদের মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি অঞ্জলী খাতুনের বাল্য বিয়ে পড়ানোর কাজ করেছেন। খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে তারা এই বাল্য বিয়ে সম্পর্কে তদন্ত করতে এসেছেন। বাল্য বিয়ে পড়ানোর অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। নতুবা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেয়া হয়। এতে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মানবাবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ৪ জনকে আটক করেন শহিদুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছে মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা কোন পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত হন তারা প্রতারক। পরে আটক ৪ প্রতারককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে ফুলবাড়ি ক্যাম্প পুলিশের এসআই কানু চন্দ্র জানান, আটক যুবকদের কাছে বিভিন্ন অখ্যাত গণমাধ্যমের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। ফলে সন্ধ্যায় তাদের কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, আটক প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম। রোববার তাদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। #
/ মোজাহো