সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাদুল্লাহপুর, রশিদপুর ২ গ্রামের একটি কবরস্থান
বহু পুরাতন এই কবর স্থানে ২ গ্রামের উচ্চপর্যায়ের মানুষ গুলোকে নিয়ে গড়া কমিটির-দির্ঘদিন ধরে করা নানা অনিয়মের অভিযোগে, থেমে আছে সকল উন্নয়ন কাজ।
বাৎসরিক চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। কমিটির উদাসিনতায় গ্রাম বাসীরা বাৎসরিক ধান আদায় সহ সকল সহযোগীতা বন্ধ করায়, এখন গহীন জঙ্গলে পরিনত হয়েছে ২ গ্রামের এই কবরস্থান । কবরস্থানের কিছু অংশে কলা ও সবজি চাষের জন্যে বৎসরে ২১ হাজার টাকা লিস দিয়েছেন কবরস্থান কমিটির।

অভিযোগ উঠেছে-গতবছর উল্লাপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান, প্রয়াত এ্যডভোকেট মারুফ বিন হাবিব-বাদুল্লাহপুর, রশিদপুর কবর স্থানের গেট নির্মানে জন্যে ১ লাক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেন। কমিটির সভাপতি ডাক্তার হাফিজুর রহমান ও কমিমিটির সদস্য,৮ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম (গুটু) মিলে সেই টাকা উত্তোলন করে-কমিটি ক্যাশিয়ার নবান খাঁ এর নিকট ৬০ হাজার টাকা জমা দিলে তা নিয়ে ২ গ্রামের সচেতন মহলের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বশেষে রশিদপুর ৮ নং ইউপি সাবেক সদস্য লিটন বর্তমান সদস্য শামিম রেজার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত শালিসে সাইফুল ইসলাম ঘুটুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ক্যাশে জমা দেওয়ার রায় দিলে, সবাই তা মেনে নিলেও এখনো সেই টাকা জমা করেন নি অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (গুটু)। এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন মসজিদ, মাদ্রাসা, কবর স্থানের দানের টাকা যদি এগুলার উন্নতি না হয়ে কমিটির পকেটে যায়, তাহলে উন্নতির লক্ষে দান করার প্রয়োজন নেই।
এলাকাবাশীর করা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গনমাধ্যম কর্মীরা কবর স্থান কমিটির সদস্য অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম গুটুর বক্তব্য জানতে তার বাড়ীতে গেলে সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এলাকাবাশীর করা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গনমাধ্যম কর্মীরা এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কবর স্থান কমিটির সভাপতি ডাক্তার হাফিজুর রহমান সাইফুল ইসলাম গুটুর উপর সব দোষ চাপিয়ে বলেন- গুটু কবে টাকা তুলেছে আমি জানি না, আমার কাছে খরচ বাদে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে আমি সেই টাকা ক্যাশিয়ার নবান খাঁয়ের কাছে জমা দিয়েছি।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কবর স্থান কমিটির ক্যাশিয়ার- নবান খাঁ সব দোষ সভাপতি হাফিজুর রহমান এর উপর চাপিয়ে বলেন- আমি এ টাকা উত্তোলন করিনি এ টাকা সভাপতি উত্তোলন করেছে সে আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে যা আমি ব্যাংকে জমা করেছি।
তাছাড়া বিচারের রায়ে তাদের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এলাকাবাসী। মসজিদ মাদ্রাসা ও কবরস্থানের কাজে যারা এমন দূর্নীতি করে, এরা সমাজের দুশমন, দেশের দুশমন, সংশ্লীষ্ট প্রসাশনের নিকট এদের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তীর দাবী জানান,এলাকার সচেতন মহল।
/ মোমই