দেশব্যাপীপরিবেশ ও সমাজজীবনশৈলীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

রাস্তা যেন অভিশাপ খোকসার বরইচারাবাসীর! বিপাকে এলাকাবাসী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসার মাসিলিয়া বাজারের অদূরে বরইচারা উত্তরপাড়ার একমাত্র রাস্তা হেরিং করা হয়েছিল ২৫ বছর আগে। তারপরে বদল হয়েছে ক্ষমতার। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদল হলেও উন্নয়েনর ছোঁয়া লাগেনি উত্তরপাড়ার এই সড়কটির।

মানুষের জন্য একটি রাস্তা আর্শীবাদ হলেও উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের বরইচারা উত্তরপাড়ারবাসীর কাছে সেই রাস্তাটিই যেন অভিশাপে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বরইচারা উত্তরপাড়া আংশিক ৬ নম্বর ও ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের সংযোগ সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এই রাস্তাটি দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক হাজার মানুষ। হাট-বাজার, স্কুল- কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করার প্রধান এ সড়কটিই অনেক বছর ধরেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, এই গ্রামে বাস করছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। ওই গ্রামের রাস্তাটি বছরের বেহালদশায় থাকলেও সংস্কারের কোনো নামগন্ধ নেই। এতে বিপাকে গ্রামটির তিন হাজার মানুষ।

গ্রামটিতে শিক্ষার হার বেশি হওয়া স্বত্ত্বেও অবহেলায় শুধু এ রাস্তাটিই। এই যন্ত্রণা নিয়ে আর কত বছর যাতায়াত করতে হবে তাও জানেন না তারা।

একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি আর রাস্তা মনে হয় না, রাস্তা হয়ে যায় তখন ধানক্ষেত! গ্রামবাসীরা সাংবাদিকদের জানান, এই রাস্তাটি হয়েছিল এরশাদ সরকারের আমলে। তারপর আর তার রাস্তার সংস্কার দেখেননি।

অনেকের দাবি, এই গ্রামে রাজনৈতিক কোন্দল চরমে থাকার কারণেই নাকি রাস্তাটির এই অবস্থা।

গ্রামবাসীদের দাবি, আমরা মাঝে মাঝে শুনি রাস্তাটি হবে হবে। কিন্তু কবে হবে- এ নিয়ে রয়েছে শংকা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, আমি শুনেছি রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে। কিন্তু কী কারণে রাস্তাটি হচ্ছে তা আমি জানি না।

তবে গোপগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, টেন্ডার হয়েছে কী না আমি তা জানি না। তবে দুই বছর আগে আমি প্রকৌশলীদের সাথে করে মাপঝোক করে এসেছি। তারপর কি হয়েছে জানি না।

চেয়ারম্যানের কাছে গ্রামবাসীর দাবি আছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রতিটি সভায় বলেছি। আর এটা এডিবির বরাদ্দ পেলে করা যাবে। ইউনিয়নের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এটা তো আর দুই এক টাকার কাজ নয়।

/ শেসআ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *