চামড়া কান্ডে ইউনিয়নবাসীর ক্ষোভ
মাহবুবুল হক শেরীন এর চামড়া কান্ডে উপজেলা সহ ইউনিয়নবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনকে নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্ব মহলের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ বিষয়টি এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
এদিকে মীরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানায় যোগাযোগ করা হলে অধিকাংশ মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানাযায়,
চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনকে কেউ চামড়া দেননি বরং চেয়ারম্যান চামড়াগুলো ক্রয় করে নিয়েছেন।
ভূমি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক ৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
জামেয়া ইসলামীয়া লহড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম মিজানুর রহমান জানান,
চামড়া বিক্রির বিষয়ে চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,
১ শত টাকা করে চামড়ার মূল্যে দিবেন এবং চামড়াগুলো সিলেটে পৌছে দেয়ার কথা বলেন।
তার কথামতো আমি একটি পিকআপ ভাড়া করে ১১২টি চামড়া পৌছে দিয়ে আসি।
কিন্তু চামড়াগুলোর টাকা অধ্যবদি পর্যন্ত আমরা পাইনি।
তাছাড়া মীরপুর ইউনিয়নের হলিয়ারপাড়া মাদ্রাসা, গড়গড়ি কান্দি মাদ্রাসা, বড়কাপন মাদ্রাসা ও
পইলভাগ মাদ্রাসার কোন চামড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়নি বলে প্রতিষ্টানের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে হাওড়ের পোনামাছ
মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জমির উদ্দিন জানান,
আমাদের ইউনিয়নের কোন মাদ্রাসা থেকে চেয়ারম্যান শেরীনকে কোন চামড়া দেয়া হয়নি।
তিনি কোথা থেকে চামড়া এনেছেন তিনিই জানেন।
চেয়ারম্যান শেরীনের এ ধরনের কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসীর মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী শ্রীরামসী বাজার কমিটির সভাপতি বাবুল মিয়া জানান,
আমার জানামতে চেয়াম্যান মাহবুবুল হক শেরীনকে কোন মাদ্রাসা থেকে চামড়া দেয়া হয়নি।
তিনি বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া ক্রয় করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সুনামগঞ্জে সাংবাদিক আবেদ মাহমুদ স্মরণে শোকসভা
শুধু লহড়ী মাদ্রাসা থেকে ১১২পিছ চামড়া ক্রয় করে আনলেও এখন পর্যন্ত তাদের টাকাগুলো দেয়া হয়নি।
চেয়ারম্যানের এসব কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসী কলোষিত হয়েছেন। এতে করে আমাদের মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
তিনি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনের এসব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মীরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ দুলন জানান, চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনের কর্মকান্ডে আমরা ইউনিয়নবাসী লজ্জিত।
ইউনিয়নবাসীর মান সম্মান রক্ষায় তিনি চেয়ারম্যানকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
ওসির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১১ আসামির আত্মসমর্পণ
মীরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সমাজকর্মী সাজাদ খান জানান,
মীরপুর ইউনিয়নবাসী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে মাহবুবুল হক শেরীনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।
কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসীকে লজ্জিত করে চলেছেন।
তিনি এসব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান।
মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে
তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
/ আসা
