কেশবপুর ও মণিরামপুরে অভিযান ভুয়া ডা. আটক
যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুরে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, ভুয়া ডা. আটক।
এ সময় দুই উপজেলার মোট ৯টি অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মীর আবু মাউদ।
এসময় আবদুস সামাদ ওরফে আজাদ নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তার প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও ব্যবস্থাপত্রের প্যাড পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
ডা. আবু মাউদ জানান, বন্ধ ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মণিরামপুর উপজেলার অর্থোপেডিক ডা. নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন রোকেয়া ক্লিনিক,
কেশবপুর উপজেলার ডিজিটাল মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আরিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হীরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
কেশবপুর সার্জিক্যালের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাইকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতাক্ষ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাইজিং প্যাথলজি সেন্টার ও পাইসল সেন্টার।
তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে চলে আসছিলো। ৯টির ৫ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই।
জাকের পার্টির যুব ফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় মিশন অনুষ্ঠিত
লাইসেন্স পাওয়ার জন্য মালিকরা অনলাইনে আবেদনও করেননি। বাকি ৪ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই।
চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে রীতিমতো প্রতারণা চলে আসছিলো। অবৈধ এসব ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক ও এমটি ল্যাব নেই।

প্যাথলজি কক্ষের অবস্থাও খুব খারাপ।
ডা. মাউদ আরো জানান, কেশবপুরের রাজগঞ্জ রোডে অবস্থিত পাইলস সেন্টারে আব্দুস সামাদ ওরফে আজাদ
চিকিৎসক পরিচয়ে মানুষের অপচিকিৎসা করে আসছিলেন।
সাংবাদিক শামসুল আলম স্বপন সমাজ সেবক হিসেবে
অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তিনি চিকিৎসকের কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। তার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই।
আব্দুস সামাদ আর কোনদিন চিকিৎসসক পরিচয়ে মানুষের প্রতারণা করবেন না এমন মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এসময় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও ভুয়া ব্যবস্থাপত্র আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযান টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর কবির, আবাসিক মেডকিল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদ,
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রন) ডা. নাসিম ফেরদৌস, স্যানেটারি কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম লাহিড়ী প্রমুখ।
কেশবপুর ও মণিরামপুরে অভিযান দুই থানার পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করেন।
/ বিহো
Pingback: যশোরে ফুটবল অনেক পিছিয়ে.. তরফদার রুহুল আমিন - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: বেনাপোল কুদলা নদী থেকে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার - দ্যা বাংলা ওয়াল